প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

ঢাবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে সরস্বতী পূজা উদযাপন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। মূলত বিদ্যা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর কৃপা লাভের আশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের মাঠে বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অনুষদের অংশগ্রহণে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের ঢল নামে জগন্নাথ হল মাঠে। সকাল সাড়ে ৬টায় প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজার কার্যক্রম শুরু হয়। মূল পূজা শুরু হয় সকাল পৌনে ১০টায়। এরপর চলে পুষ্পাঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণ। পূজা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায় ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এতে অংশ নেয়।
হিন্দু ধর্মমতে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে দেবী সরস্বতী জগতে আসেন। আর বিদ্যা, বাণী ও সুর পাওয়ার আশায় সরস্বতী পূজায় নিবেদিত হন পূজারিরা। এবার জগন্নাথ হল মাঠে ৭১টি বিভাগের নিজস্ব প্রতিমা, চারুকলা অনুষদের একটি ও হলের একটিসহ মোট ৭৩টি প্রতিমা স্থাপন করা হয়। চারুকলা অনুষদের প্রতিমাটি হলের পুকুরে এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমাটি হলের উপাসনালয়ে স্থাপন করা হয়। এবার পূজা পরিচালনা করেন হল উপাসনালয়ের পুরোহিত সাধন চক্রবর্তী। গত দুবছর করোনার কারণে পূজা উদযাপন বন্ধ ছিল। তবে এবার ব্যাপক পরিসরে পূজা উদযাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী প্রান্ত দত্ত বলেন, গত দুবছর আমরা পূজা উদযাপন করতে পারিনি। কিন্তু এবার পূজা উদযাপন করছি। এটা গত কয়েক বছরের তুলনায় সেরা উদযাপন। ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে পরিবারসহ পূজায় এসেছিলেন দেবলাল চক্রবর্তী। এত বড় পরিসরে পূজা উদযাপন ও সুন্দর পরিবেশ নিয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি পরিবারসহ এখানে এসেছি। পুরো পরিবেশটাই উৎসবমুখর দেখে আমি আনন্দিত।
সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হলেও উৎসব ছেয়ে গেছে বাকি সব শিক্ষার্থীদের মাঝে। গতকাল সকাল থেকে পূজা উদযাপন করতে মাঠে এসেছিলেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রঞ্জু ইসলাম। তিনি বলেন, আমি পূজায় এসেছি সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছি। বেশ ভালোই লাগছে। এদিকে বিকালে পূজা পরিদর্শনে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিদ্যাদেবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এই ক্যাম্পাসকে শান্তিময় ক্যাম্পাসে রূপ দিতে হবে। এখানে শেখ হাসিনার আমলে আর কোনো অস্ত্রের ঝনঝনানি হবে না, যে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে এক সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল ছিল।
এই ক্যাম্পাস এখন শান্তিপূর্ণ। এখানে সা¤প্রদায়িকতার আগ্রাসন, জঙ্গিবাদের আগ্রাসন আমরা চাই না। এ দেশের রাজনীতিতে আমরা স¤প্রীতির সেতুবন্ধন তৈরি করব, এই হোক আমাদের শপথ।
এ সময় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ হল ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, সকাল থেকেই পূজা উপলক্ষে মানুষের ঢল ছিল। এত মানুষ আসবে আমরা সেটা কল্পনা করতে পারিনি। আর আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে কঠোর অবস্থানে ছিলাম। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপিত হয়েছে। #

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়