প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

এক পাতা ঘুম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেজাজটা চরম খারাপ রাকিবের। কাচের দেয়ালের নিñিদ্র নিরাপত্তা ভেদ করে একটা মাছি কীভাবে এই হিম শীতল ঘরে রাকিবকে জ্বালানোর জন্য প্রবেশ করেছে, মাথায় আসছে না তার। এমনিতেই আজ অফিসে ঢের কাজের চাপ, তার মধ্যে এই মাছির অত্যাচারে মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে আছে। যদিও মেজাজ খারাপ হওয়ার মাছিই যে মুখ্য কারণ, তা নয়। মূলত সীমা ভাবির কারণে মাথাটা নষ্ট হতে বসেছে রাকিবের।
প্রায় চার বছর হতে চলেছে পেটের তাগিদে ঢাকায় বসবাস করছে রাকিব। ছোট্ট একটা শোওয়ার ঘর- গাল ভরে উচ্চারণ করে যাকে বেডরুম বলতে বাধো বাধো লাগে, একজন মানুষ কোনোরকম পা মেপে মেপে দাঁড়াতে পারে এমন একটা রান্নাঘর এবং বাজারে সাজিয়ে রাখা এক ফালি মিষ্টিকুমড়ার মতো বারান্দা নিয়ে মোহাম্মদপুরে রাকিবের সংসার। এই সংসারে একটি স্নানাগার আছে সত্য তবে সেখানে কোনোরকম স্নান করা বা প্রাতঃকৃত্য সারা গেলেও ফাতিহা খালা কাপড় ধুতে গিয়ে প্রতিদিন গজগজ করে ‘এমন কইতরের খোপে কাপুড় খিচুম কেমতে, কাপুড় সাফা না হইলে কিন্তুক আমারে কিছু কইতে পাইরবেন না মামা।’
একার সংসার, সারাটাদিন অফিসেই কেটে যায়, এর চেয়ে বড় বাসায় থেকে গাটের পয়সা বাড়িওলার পকেটে দেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই রাকিবের। ছুটির দিনে বারান্দাটাই রাকিবের নিশ্বাস ফেলার জায়গা। সপ্তাহান্তের ক্লান্ত দিনের অর্ধেকটা সময় এখানেই কাটে। বাকিটা সময় মিথিলার সঙ্গে প্রেম করতেই চলে যায়। দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ নেই, তাই ফোন এবং ভিডিও কল ভরসা। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে পড়ে মিথিলা, খুলনাতেই থাকে। প্রেম বোঝার আগে থেকেই দুজন বুঝে ফেলে যে তারা একে অন্যের পরিপূরক, হয়তোবা এই অনুভবের আরেক নাম প্রেম। পারিবারিকভাবে পাঁচ মাস আগে তাদের বিয়েও হয়েছে। মিথিলার অবশ্য তেমন ঢাকা আসা হয় না। এ পরীক্ষা, সে পরীক্ষার চাপে মাঝে মাঝে ফুসরত মিলে গেলে আসে। নিরামিষ দিনগুলোয় রাকিবের একমাত্র সঙ্গী বাসার কাজের সহকারী, ফাতিহা খালা। পরিজনবিহীন শহরে খালাকেই মনে হয় পরম আত্মীয়। যাবতীয় দিনলিপি খালাকে বলেই যেন পরম শান্তি পায় রাকিব।
এই কথা খালা তো দূরে থাক, কাউকেই বলা যাচ্ছে না যে, সীমা ভাবি আজকাল বড্ড প্যারা দিচ্ছে। রাকিবের একদম ইচ্ছা করছে না, তবু ওকে ছাড়বে না সে। বাসায় যাওয়ার জন্য অনবরত কল-মেসেজ দিয়েই চলেছে। রাগে মাঝে মধ্যে শরীর কাঁপে, ইচ্ছে হয় ফেসবুক লগ ইন করবে না, মোবাইল ফোনটাও বন্ধ করে রাখবে। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয় মিথিলা, আম্মা ওরা তো যোগাযোগ করতে পারবে না। এই পীড়াপীড়ি থেকে কীভাবে নিজের মুক্তি মিলবে, ভেবেই পায় না রাকিব। সবসময় যে যেতে তার খারাপ লাগে তা নয়, কিন্তু এবার কেন জানি একদম ইচ্ছা করছে না।
মনের সব কথা কারো কাছে উগরে দিয়ে খুব নির্ভার হতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু এই গভীর গোপন কথা বলার মতো মানুষ কেই-বা আছে? মনের ভেতর এই কাজের জন্য কি কোনো অনুশোচনা বোধ হচ্ছে রাকিবের, তাই ওর যেতে ইচ্ছে করছে না? নাহ, তেমন কিছুও তো বোধ হচ্ছে না। তাহলে কেন এই অনীহা! নিজেই নিজেকে বোঝার চেষ্টা করে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে সে।
এখন রাত তিনটা। কিছুতেই ঘুম আসছে না রাকিবের। মিথিলাকে সব বলে দিতে ইচ্ছা হয় তার। কিন্তু সব শোনার পর মিথিলা যদি ওর জীবন থেকে একেবারেই চলে যায়, কী হবে তখন! এসব ভাবতে ভাবতেই মিথিলার নম্বরে ডায়াল করে ফেলে রাকিব।
-এত রাতে ফোন করলে, ঘুমাওনি, শরীর খারাপ লাগছে নাকি?
ওপাশ থেকে ঘুম জড়ানো গলায় মিথিলার কণ্ঠ শোনা যায়।
-মিথিলা, তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করছে, আগামীকাল খুলনা আসছি।
-পাগলামি ছাড়ো, চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ো। অফিসের এই কাজের প্রেসারে ছুটি নেয়া একদম ঠিক হবে না।
ফোনকল কেটে দিল মিথিলা। এরপর কখন যেন গাঢ় ঘুমে জড়িয়ে এলো রাকিবের চোখ।
মোবাইল ফোনের আওয়াজে রাকিবের ঘুম ভেঙে যায় যখন, সকালের অনেকটা সময় তখন পেরিয়ে গেছে। পর্দার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো এসে লুকোচুরি খেলছে বিছানার ফুলফুল ছাপ আঁকা চাদরে। ফোনের শব্দে কপালে ভাঁজ পড়ে রাকিবের, চশমা পরতে ভুলে যায়, ফোন রিসিভ করে ফেলে সে। সীমা ভাবির মিষ্টি কণ্ঠকে কাকের ডাকের চেয়েও বেসুরো লাগতে থাকে তার।
-রাকিব, আমি শেষবার জানতে চাই, তুমি কি আসবে?

সীমা ভাবির কথা শেষ হয় কি হয় না, তা বোঝার আগেই দাঁত কিড়মিড় করতে করতে ফোনের লাল বাটন চেপে ধরে রাকিব। মুখ থেকে অসাবধানে বেরিয়ে আসে ‘বিচ’ শব্দটি। সুতার মতো কিছু মাংসের কণা রাতে দাঁতে আটকে ছিল, তাতে জীবাণুর সংক্রমণে এক বোটকা গন্ধের উদ্রেক হয়েছে, ‘বিচ’ উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই নিজের গলার আওয়াজে বমি আসতে থাকে রাকিবের। ঝটপট ব্রাশ করে তৈরি হয়ে নেয় সে। পেটে দানা-পানি দেয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা করছে না। ক্ষুধা-তৃষ্ণার অনুভূতিও কয়েকদিন ধরে একদম নেই।

রাস্তায় আজ গাড়ির জটলা ধৈর্যের সীমা ছাড়াচ্ছে, পিঁপড়ার মতো পিলপিল করে এগোচ্ছে বাস। জানালার পাশে রাকিবের বসার আসন। একের পর এক হকার এসে হামলে পড়ছে খোলা জানালায়।

‘কদম ফুল নিয়া যান স্যার, একটা দশ টেহা’ মাথায় তেল চিটচিটে চুল ঘাড় অব্দি ছুঁয়েছে, পরনের ফ্রকটি ধূসর-বিবর্ণ হয়ে গেলেও হকার কিশোরীর হাসি কদম ফুলের চেয়েও সুন্দর। কদম কেনার কথায় রাকিবের চোখের সামনে আবারো ভেসে ওঠে মিথিলার মুখ। রাকিবের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হকার মেয়েটি বাসের ঠাসবুনটে হারিয়ে যায়। হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে রাকিব দেখে দশটা সতের, আজো অফিসে দেরি হয়ে যাবে তার। গাড়ির জটলা ভাঙে, শুরু হয়ে যায় মারাত্মক শব্দদূষণ, প্যা-পু আওয়াজ করে নিজের শক্তি জানাতে জানাতে কে কার আগে ছুটে চলতে পারে, চলে সেই প্রতিযোগিতা।

অফিসের স্বয়ংক্রিয় আঙুলের ছাপ মাপা যন্ত্র জানান দিচ্ছে ঘড়িতে এখন এগারোটা বাজতে তিন মিনিট বাকি, যথারীতি লেট কাউন্ট রাকিবের। নিজের ডেস্কে যাওয়ার আগে রাকিবের চোখ পড়ে সহকর্মীদের কয়েকজনের চোখে-মুখে, আজ সবাই কেন জানি অদ্ভুত আচরণ করছে। মিলন ভাই রাকিবকে দেখে তার মাথা এমনভাবে চুলকাতে শুরু করল মনে হলো তার চুলহীন মাথায় উকুনের উৎপাত বেড়েছে। সোহেল দ্রুত পায়ে ওয়াশরুমে চলে গেল, ডায়রিয়ায় ভোগা মানুষও এত তাড়াতাড়ি বাথরুমের দরজা পার হতে পারে না। মিজান ভাই এবং সবুরের ফিসফাস কান অব্দি এলো না। সজীব দা কম্পিউটারে ঘাড় এমন করে গুঁজে রেখেছে নির্ঘাত আজ তার ঘাড়ে ব্যথার থেরাপি নিতে হবে। অন্যদিন হলে সবাই রাকিবকে দেরি করে আসার জন্য ঠাট্টা-মশকরা করে, ভালো-মন্দ জিগ্যেস করে, আজ কী হয়েছে, কে জানে! তাদের ব্যস্ততা এবং চোখ-মুখের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়ে রাকিব নিজের আসনে গিয়ে বসে কম্পিউটারের অন বাটনে চাপ দেয়।

‘রাকিব ফেসবুকে কতক্ষণ ধরে ছিলে না?’ -সহকর্মী সাজিদের সঙ্গে তিন বছর কাজ করতে করতে সম্পর্ক অনেক আগেই আপনি থেকে তুমিতে নেমেছে, বেড়েছে বন্ধুত্বের পারদ। হঠাৎ সাজিদের এমন অবান্তর প্রশ্নের কোনো মানে খুঁজে পায় না রাকিব।
-কাল রাত থেকেই আমি অফলাইনে, কিন্তু কেন সাজিদ?
-তুমি কি টের পাওনি অফিসের সবাই তোমাকে দেখে অন্যরকম আচরণ করছে?
-কিন্তু কেন?
-আমি তোমাকে কতবার কল করেছি, দেখো।
-একটা ডিস্টার্বিং কল আসায়, ফোন সাইলেন্ট করে রেখেছিলাম, এরপর আর রিংটোন চালু করতে ভুলে গিয়েছি।
ছাই রঙা জিন্স প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে রাকিব, শুধু সাজিদ নয়, পরিচিত অনেকের কল, সাতান্নটা মিসড কল।
-কী ব্যাপার সাজিদ, আমি আজ ভিআইপি হয়ে গেলাম নাকি?
-নট আ জোক রাকিব, ইটস এন ইমপর্টেন্ট ইস্যু। তুমি তোমার ফেসবুকের টাইমলাইনে বন্ধুদের পোস্ট করা অন রেখেছো কেন বোকা?
-আমি এসব বুঝি না, কেন কী হয়েছে?
-ফেসবুক লগ ইন করো জলদি।
মুহূর্তেই ফেসবুকে লগ ইন করে রাকিব, তারপর নিজের টাইম লাইনে চোখে পড়ে ‘অচিনপুরের রাজকন্যা’ আইডি থেকে পোস্ট করা ভিডিও। এই আইডি সীমা ভাবির, রাকিব ছাড়া অন্য কেউ জানে না। রাকিবের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করলে যাতে ইমন ভাইয়া বা পরিচিত কেউ বুঝে না ফেলে সেজন্য এই ফেক আইডি খুলেছিল সীমা ভাবি। কিন্তু এই আইডি থেকে রাকিবের টাইম লাইনে কী এমন ভিডিও পোস্ট করেছে, যা দেখে সবার এত লুকোচুরি অথবা সাজিদের অস্থিরতা, বুঝতে পারে না রাকিব। ভিডিওর ভিউ ছাড়িয়েছে এক লাখ ত্রিশ হাজার! অপেক্ষা না করেই ক্লিক করে রাকিব, নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারে না, সীমা ভাবি এটা কী করলো!
-সাজিদ, দেখো, মেয়েটার মুখ পুরো ভিডিওতে ব্লার করা, তুমি এটা কি করলে? এসব অনেকের জীবনেই ঘটে কিন্তু তাই বলে ভিডিও করে ছেড়ে দেবে, নিশ্চয় তোমাকে ব্ল্যাক মেইল করতে চায়।
রাকিব জানে না সীমা ভাবি তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কখন কোন গোপন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে রেখেছে, তার চেয়েও বড় কথা সে নিজের পরিচয় আড়াল করে দক্ষ এডিটর দিয়ে ভিডিওটি বানিয়েছে।
-কী ভাবছো রাকিব, জলদি ভিডিও ডিলিট করো।
রাকিব ভিডিও ডিলিট করে দেয়। কিন্তু সে খুব ভালো করেই জানে, যারা এই ভিডিও দেখেছে, তাদের কাছে রাকিবের যে ইমেজ তৈরি হলো, তা আর কোনোদিন ডিলিট করা যাবে না। সাজিদ বুঝতে পারে এখন রাকিব কেমন মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাই রাকিবকে স্পেস দিতে সে নিজের ডেস্কে চলে যায়। রাকিব ফোনের মিসড কল চেক করে। সাতান্নটা কলের মধ্যে বারোটাই মিথিলার। তার মানে সেও সবটা দেখে ফেলেছে! রাকিব আবারো ফোনের সুইচ অফ করে দেয়।

নিজের ডেস্কে কিছুতেই মন বসাতে পারে না রাকিব। অফিসের দরজা দিয়ে যখন সে বের হয়ে যেতে থাকে, আবারো সবাই চোখের পলক না ফেলে রাকিবের চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে থাকে; সিনেমার ড্রামাটিক সিকয়েন্সও কেউ এভাবে অপলকে দেখে না।

কোথায় যাবে রাকিব অনেক ভেবে ভেবেও তা বের করতে পারে না। বাসে উঠতেও ইচ্ছা করছে না, একটা রিকশা ধরে বাসার উদ্দেশ্যেই চলতে থাকে সে। খানিক এগোলেই রাকিবের বুকের ভেতরটা মুচড়ে ওঠে, আশপাশের মানুষগুলোর দিকে তাকায় রাকিব, কেউ কি ভিডিওটি দেখেছে, রাকিবের দিকে তাকিয়ে কি তারা মনে মনে হাসছে? এসব ভাবতে ভাবতেই রিকশাওয়ালাকে প্রশ্ন করে ফেলে সে।
-মামা, আপনার কি ফেসবুক আছে?
রিকশাওয়ালার প্যাডেল খানিকটা থেমে যায়, পেছন ফিরে রাকিবের চোখে চোখ রাখে, দাঁত বের করে শব্দ করে হাসে।
-ফেসবুকের কতা হুনছি মামা, মাইয়াডা সারাডা দিন মুবাইলে এইডা দেহার লাইগা গুঁতায়। আমি ইয়া বুজবার পারি না।
হাফ ছেড়ে বাঁচে রাকিব। তাহলে রিকশাওয়ালা মামা ভিডিওটা দেখেনি। দেখলে বোধহয় তাকে রিকশাতেই তুলতো না। এতক্ষণে নিশ্চয় ভিডিওটা চোখ বদল হতে হতে ভাইরাল হয়ে গেছে। বাসার কাছাকাছি জনি ভাইয়ের ওষুধের দোকানে রিকশাওয়ালাকে থামতে বলে ভাড়া মেটায় সে। জনি ভাইয়ের দোকানে বেশ কয়েকজন কাস্টমার। রাকিব ইতস্তত করতে থাকে। জনি ভাইয়ের তো ফেসবুক আছে, সে কি ভিডিওটা দেখেছে! জড়তা কাটিয়ে কথা বলে রাকিব :
-জনি ভাই, এক পাতা ঘুমের ওষুধ দেন, তিন-চার দিন ধরে সারারাত ঘুম আসে না।
অন্য কোনো দোকানদার হলে এই ওষুধ পেত না রাকিব। জনি ভাইয়ের সঙ্গে তার বেশ খাতির। সে কোনো প্রশ্ন না করেই পাতাটা রাকিবের হাতে দেয়। দুই মিনিটের বাসার পথটুকু রাকিবের কাছে যেন দুই ঘণ্টার মনে হয়। দরজার তালা খুলে দরজাটা ভেতর থেকে লাগায় রাকিব। ঘুমের ওষুধগুলো একটা একটা করে খুলে মুঠো ভর্তি করে। তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে মিথিলার মায়াভরা মুখ। রাকিবের খুব বাঁচতে ইচ্ছা করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়