প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা : ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কূটচালে নষ্ট হওয়ার নয়’

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট কাটছে না সহসা : দৈনিক চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট > সরবরাহ ২৬৬ কোটি ঘনফুট > দুর্ভোগে রাজধানীর বাসিন্দারা

পরের সংবাদ

ইয়াবাসহ দুজন আটক হলেও মামলায় আসামি এক! : নোয়াখালী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেটের কর্মচারীর বাসা থেকে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের পর একজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে অন্যজনকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার সরকারি গার্লস স্কুলের পশ্চিম পাশে ম্যাজিস্ট্রেটের কর্মচারী মো. আব্দুর রহিমের বাসা থেকে ৫০০ ইয়াবাসহ সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের আইয়ুবপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম মেম্বার বাড়ির মো. আব্দুর রহিম (৩৯) ও কাদিরহানিফ ইউনিয়নের পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের শাহরু মেম্বার বাড়ির মো. জলিল হোসেন মালেককে (৩২) আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আটককৃতদের ছবি এবং উদ্ধারকৃত ইয়াবার ছবিসহ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই বাসায় দীর্ঘদিন ধরে তারা মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করত। তবে ওই রাতেই প্রধান ইয়াবা কারবারি মো. আব্দুর রহিমকে ছেড়ে দিয়ে অন্য মাদক কারবারি মো. জলিল হোসেন মালেকের বিরুদ্ধে এসআই শরিফুল ইসলাম খান বাদী হয়ে মামলা করেন। আব্দুর রহিমকে ডিবি পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিন্দার ঝড় ওঠে। মামলার এজাহার, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও ডিবির ওসির বক্তব্য- একটার সঙ্গে অন্যটার মিল না থাকায় ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আব্দুর রহিমকে হাতেনাতে ধরা হয়নি। সে ঘটনাস্থলে বসবাস করত বিধায় তাকে ধরা হয়েছে। মালটা হলো আরেকজনের, যে নিয়ে আসছিল তাকে আটক করা হয়েছে। সন্দেহজনকভাবে আব্দুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাকে জজকোর্টের নাজিরের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে এড়িয়ে যান তিনি।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম বলেন, কাউকে ছেড়ে দেয়া হয়নি, ওটা একটা ভুল হয়েছে, যার কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে, তাকে দিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে, আরেকজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়