ঢাকা মহানগর আ.লীগ : দক্ষিণে সমাবেশ উত্তরে বিক্ষোভ আজ

আগের সংবাদ

১০ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন : ঢাকার গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ঘোষণা > ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণমিছিলের কর্মসূচি

পরের সংবাদ

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ : ড্যাফোডিলের ‘টিম ডায়মন্ডস’ চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২ প্রতিযোগিতায় ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ প্রোজেক্ট হিসেবে এ বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের দল ‘টিম ডায়মন্ডস’। গত বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস এন্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশন- নাসা এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে সরাসরি সারাবিশ্বে এটি প্রচারিত হয়। টিম ডায়মন্ডসের সদস্যরা হলেন- টিসা খন্দকার (টিম লিডার), মুনিম আহমেদ (সিস্টেম ডিজাইনার), ইঞ্জামামুল হক সনেট (সিস্টেম আর্কিটেক্ট), আবু নিয়াজ (সিস্টেম ডেভেলপার) ও জারিন চৌধুরী (রিসার্চার)। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন- অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া ও মেন্টর সহযোগী অধ্যাপক খালিদ সোহেল।
এটি নাসা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত একটি আন্তর্জাতিক হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। এ বছর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২ এ বিশ্বের ১৬২টি দেশ থেকে ২৮১৪ টিম অংশগ্রহণ করেছিল এবং সকল যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়া শেষে আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়ার জন্যে এ বছর গেøাবাল নমিনেশন পেয়েছিল বিশ্বের ৪২০টি দল। পরিশেষে আন্তর্জাতিকভাবে সব বিচার প্রক্রিয়া শেষে মাত্র ৩৫টি টিম ‘গেøাবাল ফাইনালিস্ট’ এ জায়গা করে নিয়েছে। ৩৫টি দলের এই তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি দল হিসেবে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২ এর গেøাবাল ফাইনালিস্টে জায়গা করে নিয়েছিল টিম ডায়মন্ডস। বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২ এ বিশ্বের ১৬২টি দেশ থেকে ২৮১৪ টিম অংশগ্রহণ করেছিল এবং সকল যাচাই-বাছাই, আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশের একমাত্র দল হিসেবে টিম ডায়মন্ডস গেøাবাল চ্যাম্পিয়ন হয়।
বিজয়ী দলের প্রজেক্ট ‘ডায়মন্ড ইন দ্য স্কাই’ একটি ইন্টারেক্টিভ গেম ভিত্তিক স্পেস লার্নিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে বাচ্চারা নক্ষত্রদের পরিবর্তন (রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন), এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। গেমটি খেলার মাধ্যমে বাচ্চারা তাদের নিজস্ব নক্ষত্র তৈরি থেকে শুরু করে নক্ষত্রগুলোর প্যাটার্ন, রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন প্রেডিক্ট করতে পারবে। উদ্দেশ্য ছিল মূলত বাচ্চাদের তারার ঝিকিমিকি, রাতের আকাশের ধীরগতি পরিবর্তন এবং কেন ঘটেছিল তা বোঝার সুযোগ দেয়া।
শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়্যারম্যান ড. মো. সবুর খান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান টিম দলের সদস্যদের সাফল্যে রবং দেশের জন্য দুর্লভ এ সম্মান বয়ে আনার জন্য অভিনন্দন জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়