জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি : ডা. এস এ মালেকের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি

আগের সংবাদ

পল্টন ছেড়ে গোলাপবাগে বিএনপি : বিকাল থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের অবস্থান, রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল : নয়াপল্টনেই সমাবেশ বিকল্প পেলে বিবেচনা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ করার সিদ্ধান্তে এখানো অনঢ় বিএনপি। তবে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা নয়াপল্টনের কথাই বলেছি। সরকারকে এটাও বলেছি, আপনাদের কাছে যদি বিকল্প থাকে, সেটা যদি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে বিবেচনা করে দেখা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান এবং নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানাতে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নেতাকর্মীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলের মহাসচিব। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট- আমরা আমাদের সমাবেশ অনুষ্ঠান করবই। এজন্য চেয়েছিলাম নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। এখন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এই সমাবেশটাকে শান্তিপূর্ণভাবে করার ব্যবস্থা করা। আমরা অবশ্যই আমাদের সমাবেশস্থলে যাব, আর জনগণ কী করবে সেটা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, নয়াপল্টনে পুলিশের জঘন্য, ন্যক্কারজনক, বর্বরোচিত হামলা সরকারের ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এই ঘটনা প্রমাণ করে সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। যা গণতন্ত্র, রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত। গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়ার শামিল।
নয়াপল্টনের সড়ক পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে সেখানে কীভাবে সমাবেশ করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা ২২ আগস্টের আগে অনেকেই বলেছেন, বিএনপি ?কিছুই পারে না। ২২ তারিখের পরে ৯টি সমাবেশ হয়েছে না? আপনারা নিজেরাই দেখেছেন জনগণ কীভাবে উঠে দাঁড়াচ্ছে। একটা কথা আমি বিশ্বাস করি, লুট হয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরে পেতে জনগণ উঠে দাঁড়াচ্ছে। ১০০ মাইল সাইকেলে, হেঁটে চিড়া-মুড়ি-গুড় নিয়ে সমাবেশগুলোতে উপস্থিত হচ্ছে তারা। অপেক্ষা করুন, ঢাকায় যা দেখবেন তা আপনারা নিজেরা স্বচক্ষে দেখবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ তারিখ আমাদের বিভাগীয় সমাবেশের শেষ কর্মসূচি। এই সমাবেশ থেকে আমরা পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমাদের যেসব দাবি রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব। সেখান থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যুগপৎভাবে এই আন্দোলনে থাকবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে গণআন্দোলনে পতনের ভয়ে ভীত হয়ে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ সময় ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবিও জানান। অন্যায়ের সব দায় সরকারকে বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগ বেশ কয়েকটি সভা-সমাবেশ করেছে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে এসব সমাবেশের অনুমতি তাদের কে দেয়? তারা নিজেরা নির্ধারণ করে? বিএনপি নাকি পুলিশ দেয়? সেটা আওয়ামী লীগ নিজেরা নির্ধারণ করে। তাহলে বিএনপি কোথায় সমাবেশ করবে সেটা সরকার বা পুলিশ কেন নির্ধারণ করবে? বিএনপির সমাবেশের স্থানও বিএনপিই নির্ধারণ করবে। ১০ ডিসেম্বর বিএনপি কোথায় সমাবেশ করবে সেটা বিএনপিই নির্ধারণ করবে। সরকার ও পুলিশের দায়িত্ব কেবল সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়