জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি : ডা. এস এ মালেকের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি

আগের সংবাদ

পল্টন ছেড়ে গোলাপবাগে বিএনপি : বিকাল থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের অবস্থান, রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ : ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রিভিউ শুনানির বাঁধা কাটল

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে রেখে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষমাণ তালিকায়। বিচারপতি সংকটে আটকে আছে এই শুনানি। কারণ এই মামলায় আপিলের রায় দিয়েছেন ৭ জন বিচারপতি। এজন্য রিভিউ শুনতে হলে ৭ জন বিচারপতির প্রয়োজন। কিন্তু আপিল বিভাগে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিচারপতি ছিলেন মাত্র ৫ জন। বেঞ্চ ছিল একটি। অন্যদিকে আপিল বিভাগে নিয়মিতভাবে বাড়ছে মামলা। গতকালও আপিল বিভাগের কজ লিস্টে (অপেক্ষমাণ তালিকা) মামলা ছিল ২৫৪টি। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হল নতুন ৩ জন বিচারপতি। ফলে আপিল বিভাগে গঠন করা যাবে একাধিক বেঞ্চ। এতে আপিল শুনানির অপেক্ষায় থাকা দীর্ঘ মামলাজট কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা।
গতকাল আইন মন্ত্রণালয় থেকে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপন বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আদেশে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের কর্মরত ৩ জন বিচারককে তাদের শপথ নেয়ার তারিখ থেকে আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ করেছেন। এদিন বিকেলেই সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ফলে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারপতি সংখ্যা হলো ৯ জন। তবে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মুহাম্মদ ইমান আলীর পরিবর্তে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপরই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ছুটিতে যান বিচারপতি ইমান আলী। তাই বর্তমান বিচারপতি সংখ্যা ৮ জন। নতুন বিচারপতি নিয়োগে মামলাজট কতটুকু কাটবে এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, বিচারপতি সংখ্যা কম হওয়ায় বেঞ্চ ছিল একটি। ফলে মামলা জট ছিল। নতুন বিচারপতি নিয়োগের ফলে প্রধান বিচারপতি একাধিক বেঞ্চে গঠন করতে পারবেন। ‘বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে রেখে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ)’ মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হওয়ার পথ সুগম হলো বলে জানান তিনি।
জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী বছর আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা ছিল তিনজন। ২০০৯ সালে সেই সংখ্যা দাড়াঁয় ১১ জনে। ২০১৭ সালের আগেও আপিল বিভাগের তিনটি বেঞ্চে বিচার কাজ চলেছে। ২০২০ সালে বিচারকের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৯ জনে। গত বছরে আপিল বিভাগের পাঁচজন বিচারপতি অবসরে নেন। এই কারণে বিচারক সংখ্যা কমে গিয়ে চারজনে দাঁড়িয়েছিল। বিচারক সংকট প্রকট হওয়ায় শুধু আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চেই বিচার কাজ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়