দৈনিক বাংলার মোড় থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

কক্সবাজারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী : আগামীতেও নৌকায় ভোট চাই

পরের সংবাদ

মেসি ম্যাজিকের পর নেইমারের কারুকাজ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেসির জাদুতে আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালে, আর নেইমার কিছু দেখাবে না সেটা তো ব্রাজিলের সমর্থকরা মেনে নিতে পারবে না। তাই অধীর অপেক্ষায় বসেছিলেন তারা কী করবে সেটা দেখার জন্য। তাদের প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের সহজ জয়ের মধ্য দিয়ে। নেইমার জাদুর কথা বলছিলাম কিন্তু ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে নামতে পারবে কিনা সেই অনিশ্চয়তার মাঝে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামল নেইমার। শুরু থেকে ব্রাজিল আক্রমণাত্মক ভূমিকায়।
দক্ষিণ কোরিয়া শুরু থেকেই চাপে পড়ে গেল এবং অনেকটা হিমশিম খেতে লাগল নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসন, রাফিনিয়াদের রুখতে। সেই সঙ্গে খুবই অল্প সময়ে খেয়ে বসল ২টি গোল, যার এটি ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অসাধারণ ফিনিশ। যেটা মনে হচ্ছিল খুব জোরের সঙ্গে বলটা ফিনিশ করবে। কিন্তু সেটা না করে অনেকটা ঠাণ্ডা মাথায় সময় নিয়ে বিচক্ষণতার সঙ্গে ফিনিশ করল যা সত্যিই শিক্ষণীয় বিষয়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ২য় গোল রিচার্লিসনকে ফাউল করার কারণে পেনাল্টি কিক। রাফিনিয়ার হাতে বল। ভাবছিলাম শটটা কি সেই নেবেন। তাহলে নেইমার কি করবে? কিন্তু না গোলকিপার পজিশনে না যাওয়া পর্যন্ত রাফিনিয়া বল হাতে রেখে গোলকিপারকে বুঝালো সেই মারবে। পরক্ষণে নেইমারের হাতে বল তুলে দিয়ে তাকে মারার জন্য আমন্ত্রণ জানাল।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক প্রথমে এমন একটি পজিশনে দাঁড়াল যেটা ছিল বারপোস্টের একেবারে ডানদিকে। সবাইকে ভাবিয়ে তুলল কোথায় সে দাঁড়াল। মূলতঃ নেইমারকে ধোঁকা দেয়ায় তার লক্ষ্য ছিল। পরে আস্তে আস্তে লাইনে মুভমেন্ট করতে করতে মাঝে আসল। আর নেইমারও যেন সময় নিতে লাগল এবং গোলকিপারের কাণ্ডকারখানা পর্যবেক্ষণ করতে লাগল। শেষ পর্যন্ত যে শটটি নিলেন তাতে গোলকিপার কোন পজিশনই নিতে পারল না এবং বোকার মত আচরণ করল। নেইমার এই জাদুর সঙ্গে সঙ্গে সারা মাঠে তার স্বপ্রতিভ উপস্থিতি ব্রাজিল সমর্থকরা আশার আলো দেখতে শুরু করল। চোট মুক্ত হয়ে ফিরে আসায় অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেলছে।
দ্রুত দুইগোল হজম করে দক্ষিণ কোরিয়া অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলেছে যেটা তারা হয়ত আশা করেনি। পরে খেলায় ফেরার চেষ্টায় আক্রমণাত্মক হয়েছে। কিন্তু যখনই বল হারিয়েছে তখনই চাপের সম্মুখীন হয়েছে। প্রথমার্ধে ভিনিসিয়াসের এসিস্টে পাকুয়েতার গোল এবং রিচার্লিসন বল মারার কয়েকটা টাচ করে রাফিনা এবং থিয়াগো সিলভার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান করে যে গোল করেছে সেটাও ছিল দেখার মতো। চার গোলের পর ব্রাজিলকে অনেকটা হাল্কা মেজাজে দেখা গেল এবং কোরিয়া বেশ আক্রমণ করে ১ গোল আদায় করলে ও ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ব্রাজিলের এই জয়ের মাধ্যমে আমাদের দেশের বিরাট সমর্থকরা আনন্দ উল্লাস করল। যা শেষপর্যন্ত অব্যাহত থাকুক সেটাই এখন সবার চাওয়া।
জাপান গোল করল এবং খেলায় এগিয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল এটা ধরে রাখার জন্য গত ম্যাচের তারা যে রকম প্রাচীর তৈরি করেছিল সে রকম একটা কিছু করবে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে একই তালে খেলল এবং গোল হজম করে ১২০ মিনিটে খেলা নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও কোনো ফল না আসায় টাইব্রেকারে ভাগ্য পরীক্ষায় অবতীর্ণ হলো সেখানে মুন্সিয়ানা দেখাতে না পারায় বিদায় নিতে হলো। তবে তাদের খেলায় যে উন্নতির ছাপ পরিলক্ষিত হলো তা সত্যিই প্রসংসনীয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়