দৈনিক বাংলার মোড় থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

কক্সবাজারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী : আগামীতেও নৌকায় ভোট চাই

পরের সংবাদ

মিরসরাইয়ের সৈদালী গণহত্যা : নিহত ২৩ জনকে সমাহিত করা হলো একই স্থানে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মিরসরাইয়ের সৈদালী গ্রামে গণহত্যার শিকার ২৩ জনকে একই স্থানে সমাহিত করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর হলেও মিরসরাই উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব গণকবর চিহ্নিত করে তাদের এক স্থানে সমাহিত করা হয়। সরকারের তরফ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাদের নামফলকযুক্ত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের।
গণহত্যায় নিহতরা হলেন- সৈদালী গ্রামের মোখলেছুর রহমান, আবুল কালাম (হোরা মিয়া), আমির হোসেন, খোরশেদ আলম, মকছুদ আহম্মদ, নজীর আহমদ, সুলতান আহমদ, কবির উদ্দিন, শেখ আহমদ, আবদুল মালেক, তমিজ উদ্দিন, হাকিম বক্স, বেদন আলী, সামছুল আলম ভূঁইয়া, নুরুল আলম ভূঁইয়া, ফকির আহমদ, রহিম বক্স, আব্দুর রশিদ, মফিজুর রহমান, হোসেন জামান, জোবেদা খাতুন, জায়েদ আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বজলুর রহমান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান জানান, সংবাদপত্র এবং সৈদালী নাগরিক ফোরাম নামে গ্রামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে সৈদালীতে অরক্ষিত গণকবর থাকার বিষয়টি জেনে তা একসঙ্গে সমাহিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রথমে তাদের দেহাবশেষ উত্তোলন এবং নতুন করে কবর দেয়ার বিষয়টি শরিয়াসম্মত করতে কিছু কাজ করতে হয়েছে। সরকারি জমির ওপর কবরস্থান ঠিক করা হয়। পরবর্তী সময়ে কবরস্থানে যাওয়ার পথ তৈরি করতে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে দুই শতক জমি কেনা হয়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কবর সমাহিত করার কাজটি করা হলো। পরবর্তী সময়ে আমরা আমাদের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরামর্শে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।’
এদিকে ২০১৭ সাল থেকে সৈদালী নাগরিক ফোরাম প্রতি বছর ২০ এপ্রিল দিনটিকে সৈদালী

গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। মূলত সংগঠনটির নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সবগুলো কবর একসঙ্গে সমাহিত করার উদ্যোগ নেয় সরকার।
সংগঠনটির সভাপতি নাট্য নির্দেশক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সৈদালী গ্রামে নির্বিচারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালায়। ওইদিন পাকিস্তানি জান্তারা অসংখ্য ঘরবাড়ি জ¦ালিয়ে দেয় এবং লুটপাট করে। এছাড়া গ্রামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ২২ জনকে হত্যা এবং কয়েকজন নারীকে সেদিন ধর্ষণ করে। সৈদালী গণহত্যায় নিহতদের কবর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়ায় মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান ও মিরসরাইয়ে সাংবাদিকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়