দৈনিক বাংলার মোড় থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

কক্সবাজারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী : আগামীতেও নৌকায় ভোট চাই

পরের সংবাদ

বেশিদূর যেতে পারল না এশিয়া

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বকাপ ফুটবলের কোনো আসরেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি এশিয়ার কোনো দেশ। তবে এশিয়ার চমক দেখা গিয়েছিল ২০০২ বিশ্বকাপে। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তিদের হারিয়ে রীতিমতো চমকে দিয়েছিল এশিয়ার দেশগুলো। এবার কাতার বিশ্বকাপেও চমক দেখিয়েছে তারা। এশিয়া মহাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া উঠেছিল শেষ ষোলোতে। তবে সেখানেই থেমে যেতে হলো তাদের।
এবার এশিয়া মহাদেশ থেকে কাতার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও স্বাগতিক কাতার। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বড় চমক দেখায় সৌদি আরব। পাশাপাশি নিজেদের প্রথম ম্যাচে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে রীতিমতো অঘটনের জন্ম দেয় জাপান। তবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে সৌদি আরব, কাতার এবং ইরান।
আশা দেখাচ্ছিল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। অপরদিকে এশিয়া মহাদেশ থেকে সবার আগে নকআউট নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়ারও স্বপ্ন ছিল আরো বড়। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ডেনমার্ককে হারিয়ে ১৬ বছর পর নকআউটে পা রেখেছিল সকারুরা। তবে নকআউটে আর্জেন্টিনার কাছে ২-১ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। অপরদিকে ‘ই’ গ্রুপে জাপানের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি, স্পেন ও কোস্টারিকা। যেখানে জাপানের নকআউটে কোনো সম্ভবনাই ছিল না, সেখান থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে পা রাখে তারা। কোস্টারিকার কাছে হারলেও বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি জার্মানি ও স্পেনকে হারিয়ে দেয় ব্লু সামুরাইরা। ফলে তাদের নিয়ে আশাবাদী ছিল এশিয়ার সমর্থকরা। নকআউটে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। তাদের সঙ্গেও পাল্লা দিয়েই খেলেছে জাপান। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকায় এবং অতিরিক্ত সময়েও কোনো গোল না পেলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ক্রোয়েশিয়ার অভিজ্ঞতার কাছে হেরে যায় তারা। এ যাত্রায় বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেনি জাপান। শেষ ষোলোতেই থেমে যায় তাদের বিশ্বকাপ মিশন।
জাপান হেরে যাওয়ায় এশিয়া মহাদেশের শেষ ভরসা ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে ঘানার কাছে হারলেও শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল তাদরে মাঝেও। তবে নকআউটে শক্তিশালী ব্রাজিলের কাছে ৪-১ গোলে হেরে যায় তারা। ফলে এবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডেই শেষ হয়ে যায় এশিয়া মহাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।
এর আগে ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এশিয়া মহাদেশে। সেই আসরের যৌথ আয়োজক ছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। যেখানেও দেখা গিয়েছিল এশিয়ার দলগুলোর শক্তি। সেই আসরের নকআউটে উঠেছিল জাপান। সেবার তারা হেরে যায় তুরস্কের কাছে। আর স্বাগতিক হিসেবে রূপকথার মতো বিশ্বকাপ কাটায় দক্ষিণ কোরিয়া। তুলনামূলক দুর্বল দল হয়েও সেবার গ্রুপ পর্ব থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে তারা। এরপর নকআউটে ইতালি এবং কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।
এবার এশিয়ার দেশগুলো যেভাবে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল তাতে মনে হয়েছিল এই আসরের শিরোপাও জিততে পারে এশিয়ার কোনো দেশ। তবে এই আসরেও বেশি দূর এগোতে পারল না এশিয়ার দেশগুলো।
২০০২ এর পর ২০০৬ বিশ্বকাপে তেমন ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়া থেকে নকআউটে অংশ নিয়েছিল শুধু অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০১০ বিশ্বকাপে আবারো জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া নকআউটে পৌঁছায়। আর ২০১৪ সালে আলজেরিয়া খেলে নকআউটে। ২০১৮ সালে শুধু জাপান। এই আসরেই সর্বোচ্চ তিনটি এশিয়ার দেশ পৌঁছেছিল নকআউটে। তবে নকআউটের বেশি এগোতে পারেনি তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়