ঢাবি প্রতিনিধি : বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। বিএনপি জঙ্গিবাদ ও সা¤প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক। সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করলে তাদের আর ছাড় দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সোমবার সকালে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা সেটা আমরা আজও জানি না। কোন দিন জানা যাবে সেটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। হোসেন সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র। গণতন্ত্রই তার জীবনের মূল ভিত্তি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। সারাদেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের পক্ষে, স্বাধীনতার আদেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ক্যাম্পেইন করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটিয়েছেন। বিএনপির প্রহসনের নির্বাচন দেশের ইতিহাসে আছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘরে থাকতে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, আজিজুস সামাদ আজাদ (ডন) ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।
এছাড়া হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মাজারে শ্রদ্ধা জানায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পরিষদ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগসহ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহ।