স্থায়ী কমিটি : স্টেডিয়ামে নারীদের খেলার পরিবেশ নিশ্চিতের সুপারিশ

আগের সংবাদ

দফায় দফায় বাড়ছে ওষুধের দাম : দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ক্যাবের, দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ রোগে ভুগে মারা যাবে

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী : বিদেশফেরত কর্মীদের এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ও আফ্রিকা থেকে দেশে আসা মানুষ এইডসে বেশি আক্রান্ত হয়। দেশে ফিরে তারা তাদের পরিবারের সদস্যদেরও আক্রান্ত করছেন। ফেরার সময় নিজেরাও জানতে পারেননি যে, তারা এইডস আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। তাই দেশত্যাগের আগে যেভাবে এইডস পরীক্ষা করে এইচআইভি নেগেটিভ হলে তারপর বিদেশে যেতে হয়, একইভাবে ফেরার সময়ও তাদেরকে পুনরায় পরীক্ষা করা হবে। এতে করে আক্রান্তদের সঠিক চিকিৎসা দেয়া যেমন সহজ হবে, অন্যদিকে, তাদের পরিবারের অন্যান্য নিরাপদ সদস্যরাও এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাবেন।
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পরিবার কল্যাণ ও আইন অনুবিভাগ) ডা. আশরাফী আহমদ, এনডিসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রাজেন্দ্র পোখড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, লাইন ডাইরেক্টর ডা. খুরশীদ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে প্রায় ১৪ হাজার জন এইডস রোগী আছে। এদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার জনকে শনাক্ত করা গেছে। ২০২২ সালের তথ্যানুযায়ী, এইডস রোগে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৯৪৭ জন এবং মারা গেছেন ২৩২ জন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এইডস রোগীর সংখ্যা বেশি।
দেশে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকার বিনামূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে। চিকিৎসা নিলে এইডস রোগীরা আরো বেশিদিন সুস্থ থাকতে পারে। তবে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কথা ভেবে এইডস হলে তারা গোপন রাখে এবং সে কথা কাউকে প্রকাশ না করে অন্যদেরও আক্রান্ত করে ফেলে। এতে করে দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের হাতে টিকা আছে। চতুর্থ ডোজ টিকা দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। টিকা দেয়ার ব্যাপারে টেকনিক্যাল কমিটিরও সম্মতি আছে। দেশের মানুষকে কোভিড-১৯ টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়া হবে। ষাটোর্ধ্ব মানুষ চতুর্থ ডোজ আগে পাবেন।
এদিকে গতকাল থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনার টিকা দেয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
এই ৭ দিনে ৯০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে বলেও অনুষ্ঠানে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়