স্থায়ী কমিটি : স্টেডিয়ামে নারীদের খেলার পরিবেশ নিশ্চিতের সুপারিশ

আগের সংবাদ

দফায় দফায় বাড়ছে ওষুধের দাম : দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ক্যাবের, দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ রোগে ভুগে মারা যাবে

পরের সংবাদ

শিশু আয়াতের মাথার খণ্ডিত অংশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নগরীতে হত্যার পর ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেয়া ৫ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের শরীরের খণ্ডিতাংশ দুই পা উদ্ধারের পর এবার মিলেছে মাথার খণ্ডিত অংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরের আকমল আলী ঘাটের স্লুইসগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। এর আগে, বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর আকমল আলী রোডের একই এলাকা থেকে আয়াতের খণ্ডিত দুই পা উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) মর্জিনা আক্তার বলেন, স্লুইসগেটে আটকে থাকা পানির মধ্যে জমা পলিথিনে তল্লাশি করে মাথাটি পাওয়া গেছে। আবির আলী যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেভাবেই আঠালো টেপে মোড়ানো পলিথিনের ভেতরে মাথাটি পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে আয়াতের স্বজনরা গিয়েছিলেন।
আয়াতের মাথার অংশটি উদ্ধারের খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান আয়াতের বাবা সোহেল রানা। মাথার অংশটি দেখেই নিশ্চিত হন যে এটি আয়াতেরই। কারণ যেদিন আয়াত নিখোঁজ হয় ওই দিন নিজ হাতে চুলের সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছিলেন একটি ক্লিপ। যেটি এখনো চুলের সঙ্গেই লেগে আছে। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সোহেল রানা বলেন, ‘দেখেন দেখেন-আমার মেয়েটা কত সুন্দর। ওই যে চুল। চুলের সঙ্গে লাগানো ক্লিপটা। চেহারা এখনো কত সুন্দর। বাবা যে ক্লিপ লাগাই দিছে, ওই ক্লিপটাতো কিছু হয় নাই। ওই ক্লিপটাতো আছে। হয়তো আয়াত বলছে, বাবা আমি ঘুমিয়েছি। আমাকে নিয়ে যাও না।’
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্লুইসগেটের চারটি প্রকোষ্ঠের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার পর একটি প্রকোষ্ঠে আটকে যাওয়া পলিথিনে পা দুটি পাওয়া যায়, যেগুলো আবিরের বর্ণনামতো পলিথিনের ভেতর টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর পাঁচ বছরের শিশু আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৯ বছরের আবিরকে আটক করে। আয়াতের দাদার বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকে আবিরের পরিবার। পিবিআই জানায়, মুক্তিপণের জন্যই আয়াতকে অপহরণ করে খুন করেছে তাদের ভাড়াটের ছেলে আবির আলী। পরে ওইদিন রাতে আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্ণনা দেন আবির। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, শিশুটিকে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে সে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়