স্থায়ী কমিটি : স্টেডিয়ামে নারীদের খেলার পরিবেশ নিশ্চিতের সুপারিশ

আগের সংবাদ

দফায় দফায় বাড়ছে ওষুধের দাম : দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ক্যাবের, দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ রোগে ভুগে মারা যাবে

পরের সংবাদ

রাজশাহীতে পরিবহন ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ : নাটোরে বন্ধ যানবাহন চলাচল

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী ও নাটোর : ১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। এদিন রাজশাহী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি বা প্রবেশও করেনি। এতে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা ও ছোট ছোট বাহনে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া চাপ বেড়েছে ট্রেনে।
সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশে নগরীর শিরোইল, ভদ্রা ও রেলগেট বাস টার্মিনালে আসেন যাত্রীরা। কিন্তু বাস না পেয়ে কেউ বিকল্প যানবাহন খোঁজেন, কেউ বা বাড়ি ফিরে যান। সিএনজি অটোরিকশা, হিউম্যান হলার, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে রওনা হন। অনেকে রাজশাহী রেলস্টেশনে ভিড় করেন।
আজ শুক্রবার সরকারি চাকরির পরীক্ষা, তাই গতকাল সকালেই ঢাকার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন আব্দুল মমিন। তিনি বলেন, ৪ দিন আগেই ট্রেনের টিকেট পাইনি। রাত থেকে আবার বাস বন্ধ। এখন বিকল্প উপায়ও দেখছি না।
পরিবার নিয়ে রাস্তায় গাড়ির খোঁজ করছিলেন নওগাঁ থেকে আসা শিশির আলী। তিনি বলেন, নওগাঁ থেকে রাজশাহী আসতে সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টা। খরচ হয়েছে ৫০০ টাকা। যেখানে স্বাভাবিক দিনে লাগে ২০০ টাকা। এখন ঢাকা যেতে কত টাকা লাগবে বুঝতে পারছি না।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাতিউল হক টিটু বলেন, দাবি আদায়ের জন্য এটি আমাদের স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি। মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
এদিকে ধর্মঘটের ফলে চাপ বেড়েছে ট্রেনে। তাই বিভিন্ন রুটের ট্রেনের টিকেট এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। টিকেট না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়েই রওনা হচ্ছেন। ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ লক্ষ করা গেছে।
নাটোরে বন্ধ যানবাহন চলাচল : এদিকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের প্রথমদিনে গতকাল নাটোর থেকে বাসসহ কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। যাত্রীরা বলেন, কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য তারা কোনো গাড়ি পাচ্ছেন না। সময়মতো অফিসে পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হবে। বাস বন্ধ হয়ে

যাওয়ায় এখন বিকল্পভাবে যেতে হলে অনেক টাকা খরচ হবে। তাদের অভিমত, এভাবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা না করে যখন তখন ধর্মঘট দেয়া ঠিক না।
রাব্বি নামের এক যাত্রী জানান, বাস না পেয়ে তিনি ভেঙে ভেঙে ভ্যান ও অটোরিকশায় নাটোরে এসেছেন। এরপর যাবেন বগুড়ায়। কীভাবে যাবেন, কত খরচ হবে- এসব নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উত্তম নামের এক যাত্রী জানান, কুষ্টিয়ায় তার ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে। সেখানে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। তবে টার্মিনালে কোনো বাস না পেয়ে এখন বাড়ি ফিরে যেতে হবে। রিনা ও তার মা ঢাকায় যাওয়ার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু টার্মিনালে কোনো বাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাদের বাসায় ফিরে যেতে হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়