স্থায়ী কমিটি : স্টেডিয়ামে নারীদের খেলার পরিবেশ নিশ্চিতের সুপারিশ

আগের সংবাদ

দফায় দফায় বাড়ছে ওষুধের দাম : দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ক্যাবের, দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ রোগে ভুগে মারা যাবে

পরের সংবাদ

ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা : চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিকতা চাই

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পার্বত্য শান্তিচুক্তিকে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংহতির জন্য সমস্যা সমাধানের একটি ধাপ হিসেবে দেখছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ১৯৯৭ সালে যে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছে সেটিকে সামনে রেখেই কাজ করতে হবে। এর মধ্যে চুক্তির বেশ কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী। পার্বত্য চট্টগ্রামের যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসা, সরকারি- বেসরকারি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চাকরি পাওয়ার বিষয়টিও ঘটেছে। শান্তিচুক্তির সিলভার জুবিলিতে একটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে হবে- সেটি হলো, শান্তিচুক্তিতে যেসব বিষয় ছিল সেগুলোর কোন কোন বিষয় বাস্তবায়িত হয়নি, কোনগুলো হয়েছে সে ব্যাপারে চুক্তির উভয়পক্ষ বসে পুনঃনিরীক্ষণ করে সেগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উপায় বের করতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা ড. আনন্দ বিকাশ চাকমার মতে, শান্তিচুক্তির আগে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি ছিল তা ১৯৯৭ সালে চুক্তির পরে অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো সেখানে নানা ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছে। যার ফলে পাহাড়ি জনপদে আর্থসামাজিক উন্নয়নের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অনেক সদস্য নানা ক্ষেত্রেই তাদের জীবিকা খুঁজে নিতে পেরেছে। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থারও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এগুলোকে তো শান্তিচুক্তির সুফল বলতে হবে।
কিন্তু পাহাড়ি জনপদে এখনো অস্ত্রের ঝনঝনানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সংঘাত, খুন, রেষারেষি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এসবের পেছনে কী কারণ রয়েছে তা খুঁজে বের করে সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য শান্তিচুক্তির যে দুটি পক্ষ (জেএসএস ও সরকার পক্ষ) ছিল তাদেরই উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে হবে। পরস্পরকে দোষারোপ করলে সমস্যাগুলো বরং বাড়বে, কমবে না। তাই আর সংঘাত, হানাহানি বা দোষারোপ নয়, উভয়পক্ষের সমন্বয়ে চুক্তির পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে এর কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে এবং হয়নি তা বের করা ও সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে যৌথ প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়