স্থায়ী কমিটি : স্টেডিয়ামে নারীদের খেলার পরিবেশ নিশ্চিতের সুপারিশ

আগের সংবাদ

দফায় দফায় বাড়ছে ওষুধের দাম : দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ক্যাবের, দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ রোগে ভুগে মারা যাবে

পরের সংবাদ

ইসলামী ব্যাংকসহ ৩ ব্যাংকের ঋণ অনিয়ম খতিয়ে দেখছে দুদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শেষ হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়ে পরবর্তী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
এদিকে ইসলামী ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবী। চিঠিতে বিষয়গুলো আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ারও অনুরোধ করা হয়। গতকাল দুদক এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়। এ বিষয়ে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চাইলে সংস্থাটির সচিব বলেন, চিঠি আমার হাতে এখনো পৌঁছায়নি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংবাদটি পাওয়ার পর যাতে অনুসন্ধান শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ঋণ দেয়ায় ব্যাংকগুলোর অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নানা উপায়ে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ বের করে নেয়ার তথ্য তুলে ধরা হয় এসব প্রতিবেদনে। চলতি বছরে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ও বাকি অর্থ সোশ্যাল ইসলামী এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয় ১ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে। এছাড়া এস আলম গ্রুপ একাই ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে লেনদেন করেছে। এসব ঋণের ঘটনায় গত বুধবার রিট করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে আদালতের নির্দেশনা মেনে বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা ৫৬ মামলার তদন্তকাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করা হবে জানিয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, সে অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বেসিক ব্যাংকের ৫৬টি মামলার প্রতিটির সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হয়। সে কারণেই সময় লাগছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্তকাজ শেষ করার যথাসাধ্য চেষ্টা থাকবে।
দুদক ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠার পরপরই অনুসন্ধানে নামে দুদক। ঋণপত্র যাচাই না করে জামানত ছাড়া, জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণদানসহ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ ওঠে ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে। প্রায় পাঁচ বছর অনুসন্ধান শেষে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনে টানা ৫৬টি মামলা করা হয়। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় এসব মামলায় আসামি করা হয় ১২০ জনকে। এর মধ্যে ঋণগ্রহীতা ৮২ জন, ব্যাংকার ২৭ ও ভূমি জরিপকারী ১১ জন। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলাগুলোর তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দুদকের সাবেক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের দল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়