স্থায়ী কমিটি : স্টেডিয়ামে নারীদের খেলার পরিবেশ নিশ্চিতের সুপারিশ

আগের সংবাদ

দফায় দফায় বাড়ছে ওষুধের দাম : দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ক্যাবের, দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ রোগে ভুগে মারা যাবে

পরের সংবাদ

আশুরার বিলের ফসলি জমি রক্ষায় আন্দোলনে কৃষক : নবাবগঞ্জ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : নবাবগঞ্জে আশুরার বিলে আবাদি জমি রক্ষায় এবং বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী হাজারো কৃষক মানববন্ধন করছেন। গত বুধবার দুপুরে ব্যানার নিয়ে অবস্থান করে ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন’ করেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর বিলের পুরনো বাঁধে ব্যানার পোস্টার হাতে নিয়ে আন্দোলন করছে। নতুন করে বিলে বাঁধ স্থাপন করলে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে ধান আবাদ থেকে তারা বঞ্চিত হবেন। প্রায় ২ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে এই আশুরার বিল। নাম বিল হলেও দেখতে নদীর মতো। বিলের পানি শুকিয়ে গেলে সেখানে ধানের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে বিলপাড়ের কয়েক হাজার মানুষ।
ভুক্তভোগী কৃষাণী রাবেয়া বেগম বলেন, এই বিলের জমিই আমাদের একমাত্র অবলম্বন। বিলের জমি চাষাবাদ করে আমাদের জীবন চলে। নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করলে ধানের জমি নষ্ট হবে। আবাদ না করলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলব কি করে?
ফজিলা বেগম বলেন, বাঁধ নির্মাণ করলে এই বিলে পানি জমে থাকবে। আবার ফসলের জমি কমে যাবে। আমরা চলব কি করে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার বলে, আমি লেখাপড়া করি। বাবা এই বিলের জমি আবাদ করে আমাদের সংসার চালায়। আবাদ না হলে আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় কৃষক রেজাউল করিম বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা এই বিলের জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড নতুন করে বাঁধ এবং ড্রেন তৈরি করতে চায়। এটা আমরা হতে দিব না। আমরা চাই বিলের মাঝখানে আগের পুরনো ড্রেনটি তারা খনন করুক। এতে আমাদের অনেক উপকার হবে। 
তিনি বলেন, এই বিলের জমি রক্ষার্থে আমরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দেব। যতদিন আমাদের দাবি না মানা হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় ঐতিহাসিক আশুরা বিল খনন ও বাঁধ নির্মাণে ৬ কোটি টাকার প্রকল্প এসেছে। কাজ শুরুর আগে আমাদের প্রকৌশলীরা বুধবার জরিপ করতে গেলে তাদের বাধা দেয়া হয়। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে থানা-পুলিশের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেব। আশুরার বিলকে বাঁচাতে বাঁধ নির্মাণ এবং খননের বিকল্প নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়