মৃত্যুবার্ষিকী আজ : সাবেক মেয়র হানিফ স্মরণে নানা কর্মসূচি

আগের সংবাদ

সমাবেশ ঘিরে দুপক্ষের হুঙ্কার : বিএনপি নেতাদের বক্তৃতায় প্রচ্ছন্ন হুমকি > ছাড় না দেয়ার ঘোষণা আওয়ামী লীগ নেতাদের

পরের সংবাদ

বিয়ানীবাজার কূপ থেকে গ্রিডে গ্যাস আসা শুরু

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ফারুক আহমদ, সিলেট ব্যুরো : সিলেট থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো আরো ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গতকাল সোমবার সন্ধা ৬টা থেকে এ সরবরাহ শুরু হয়। পাঁচ বছর আগে গ্যাসকেন্দ্রের পরিত্যক্ত ঘোষিত সিলেটের বিয়ানীবাজার ১ নম্বর কূপ থেকে এই গ্যাস সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হচ্ছে। এতে চলমান গ্যাস সংকট কিছুটা লাঘব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা বিয়ানীবাজারের ১ নম্বর কূপ গত সেপ্টেম্বরে খনন কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
সোমবার বিকালে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্যাসের চাপ পরীক্ষার (টেস্টিং) কাজ শেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের জন্য কারিগরি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত রবিবার রাত ১২টার পর থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ করার কথা থাকলেও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে আজ (সোমবার) সন্ধ্যা থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এ কূপ থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা যাবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে বর্তমানে দৈনিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ হচ্ছে।
এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারো তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর প্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনর্খননকাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। কূপে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিতের পর গত ১০ নভেম্বর থেকে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
বর্তমানে কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করছে এসজিএফএল।
দেশে গ্যাস সংকটের সময়ে এ কূপ থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ একটি আনন্দের সংবাদ উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়া পর আনুষঙ্গিক কাজ দ্রুত শেষ করে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। এর জন্য আমরা সফলভাবে কাজটি দ্রুত করতে পেরেছি। এছাড়া বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় থ্রিডি সেসমিক জরিপ চলছে। সেই জরিপ থেকে নতুন গ্যাস ফিল্ড পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের সব কোম্পানি প্রায় ৪৬টি কূপ খনন (ওয়ার্ক ওভার) এর মাধ্যমে ৬১৮ মিলিয়ন গ্যাস বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়