নাইক্ষ্যংছড়ি : ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় মামলা

আগের সংবাদ

তিন কারণে ভালো ফলাফল : সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নপত্রে সুবিধা ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের প্রভাবে পাসের হার বেড়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায়

পরের সংবাদ

সোনাগাজী মো. ছাবের সরকারি পাইলট হাইস্কুল : ২২ পদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ ১৪টি শূন্য

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সৈয়দ মনির আহমদ, সোনাগাজী (ফেনী) থেকে : ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় সোনাগাজী মো. ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২২টি পদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ১৪টি পদ শূন্য। শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। ঈর্ষণীয় ফলাফল, খেলাধুলা, স্কাউট, পরিবেশ সব মিলিয়ে এক সময়ের ঐতিহ্যবাহি এই বিদ্যালয় এখন সবদিক থেকেই পিছিয়ে যাচ্ছে শিক্ষক ও কর্মচারি সংকটের কারণে। কবে নাগাদ এ সংকটের সমাধান হবে তা বলতে পারছেন না কেউ ।
জানা যায়, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সোনাগাজী উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়টি। ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট এটি জাতীয়করণ করে আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৯৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রধান শিক্ষক, একজন সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ২২টি শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, গণিত, ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, ধর্মসহ ১৪টি পদ শূন্য । শিক্ষকের ২২টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ৮ জন শিক্ষক। শূন্যপদগুলো হচ্ছে- প্রধান শিক্ষক একজন, সহকারি প্রধান শিক্ষক একজন, বাংলা একজন, ইংরেজি দুইজন, গণিত একজন, সামাজিক বিজ্ঞান একজন, পদার্থ বিজ্ঞান একজন, জীব বিজ্ঞান একজন, কৃষি শিক্ষা একজন, হিন্দু ধর্ম একজন এবং কারিগরী দুইজন।
শিক্ষক সংকটের কারনে রুটিন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পড়ানো সম্ভব হয় না। নির্ভর করতে হয় প্রাইভেট টিউটরের উপর। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৭টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূন্য। কম্পিউটার অপারেটর দুটি পদের মধ্যে দুটিই শূন্য। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির চারটি পদের মধ্যে তিনটি পদই শূন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অস্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, জাতীয়করণ করার পরদিন থেকেই বিদ্যালয়ে এমন সংকট দেখা দিয়েছে। জিও হওয়ায় উপকৃত হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা।
সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ঐতিহ্যবাহি এই প্রতিষ্ঠানে আমরাও পড়ালেখা করেছি কখনো শিক্ষক সংকটের মতো পরিস্থিতিতে পড়েনি এই বিদ্যাপিঠ। আমরা চরম হতাশায় ভুগছি। এ সংকট না কাটলে স্থানান্তর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয়নূল আবেদীন বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় শিক্ষক পদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার অবহিত করা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই শিক্ষক সংকট দূর হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর জন্য বিজ্ঞান, গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে চারজন খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়