কাগজ প্রতিবেদক, গাজীপুর : পূর্ব শত্রæতার জের ধরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আশিক নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছেন। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশিক একই এলাকার সোলাইমান হোসেন সেলু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে আশরাফুল নামে এক যুবকের সঙ্গে মতবিরোধ হয় আশিকের। তবে পরবর্তিতে বিষয়টি স্থানীয়রা মীমাংসা করে দেন।
এরপর গত শনিবার রাতে বিশ্বকাপ খেলা দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আশিক ও তার বন্ধুরা। হঠাৎ আশরাফুলের নাম্বার থেকে একটি কল আসে আশিকের ফোনে। এ সময় আশিককে বলা হয়, এক ব্যক্তিকে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাকে শনাক্ত করার জন্য নীলাচল হাউজিং সোসাইটির প্রকল্প এলাকায় যেতে বলা হয় আশিককে। ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য নীলাচল হাউসিং প্রপার্টিজের ভেতরে প্রবেশ করেন তিনি।
এর কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে মারধর ও ডাক-চিৎকার শুনে আশিকের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলা শিকার হন টুটুল, বিল্লাল ও সাব্বির নামে আরো তিন যুবক। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আশিককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হাসপাতালে নিহত আশিকের বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষীরা আশিকের হত্যাকারী সন্দেহে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন যুবকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কয়েকজন যুবক গুরুতর আহত হন। এছাড়াও হাসপাতালে জরুরি বিভাগের জানালার গøাস ও মূল্যবান আসবাপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।