মোজাম্মেল-প্রণয় সাক্ষাৎ : কলকাতার থিয়েটার রোডের সেই বাড়িটি চেয়েছে বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

কাদের সঙ্গে ডায়লগ করব? মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

পরের সংবাদ

মুক্তিযোদ্ধার নামের কলেজ নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র : সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মসিউর রহমান ফিরোজ, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি আদর্শ কলেজটি ধ্বংস করতে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী কাথন্ডা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দাঁতভাঙ্গা মহাবিদ্যালয়। ১৯৭৮ সালে এমপিওভুক্ত হয় মহাবিদ্যালটি। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এমপিও বাতিলসহ তৎকালীন সময়ে এই কলেজটিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। ২০০৪ সালে এলাকাবাসী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে এর নাম পরিবর্তন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি আদর্শ কলেজ করা হয়। ২০২২ সালে ফের এমপিওভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। কলেজটি বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করার পর বর্তমান প্রজন্ম ও সর্বসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিণত হওয়ায় চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছে।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে কলেজের এমপিওভুক্ত হওয়ার পরেই স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটির সন্তানরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এজন্য তারা গড়ে তুলেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের প্রধান লক্ষ্য কলেজটি যেন আবার মুখ থুবড়ে পড়ে। সূত্র জানায়, এই চক্রের নেতৃত্বে আছে স্থানীয় শাহাজান কবির লাভলু। লাভলুর নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানরা একত্রিত হয়ে পুনরায় এমপিও বাতিলসহ মুক্তিযুদ্ধের নাম নিশানা মুছে ফেলার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে কলেজের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রস্তাবটি জানার পর থেকে সে স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী নেতাদের সঙ্গে একজোট হয়ে মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। এরপর ২ মে ২০১৯ সালে যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তনের প্রজ্ঞাপন জারি করে, তখন সে দাম্ভিকতার সঙ্গে বলে, আগামী ৮০ বছরেও প্রতিষ্ঠানটি এমপিও হবে না।
সূত্র আরো জানায়, মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করায় বিভিন্ন সময়ে সে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে স্থানীয় অবিভাবকদের নিরুৎসাহিত করে এই কলেজে ভর্তি হতে।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শাহাজান কবির লাভলু প্রায়ই সরকার পরিবর্তনের কথা বলে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও বন্ধের হুমকি দেয়। তারা আরো বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী কলেজের নামে ১৬ বিঘা জমি দান করেন। প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের পর থেকে শাহাজান কবির লাভলুর নেতৃত্বে কলেজ বিরোধীরা ষড়যন্ত্রে জড়িত হয়ে পড়ে। তার উস্কানিতে আমরা কলেজের ১৬ বিঘা ফসলি জমি নিজেদের আয়ত্বে আনতে বাধার সম্মুখীন হই।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বৈকারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান অছলে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত খালেক মণ্ডলের ছেলে বুলবুল ও নিকটআত্বীয় শাহাজান কবির লাভলুর নেতৃত্বে জামায়াতের ক্যাডার বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধার নামের কলেজটি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বর্তমান সময়ে জামায়াতিদের এহেন কর্মকাণ্ড আমাদের অবাক করে। আমরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কলেজ নিয়ে চক্রান্তকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে কলেজটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্যা ও অধ্যক্ষ জাহিরুল আলম বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এব্যাপারে শাহাজান কবির লাভলু সমগ্র অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আমার বড় ভাই বিএনপির রাজনীতি করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়