মোজাম্মেল-প্রণয় সাক্ষাৎ : কলকাতার থিয়েটার রোডের সেই বাড়িটি চেয়েছে বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

কাদের সঙ্গে ডায়লগ করব? মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

পরের সংবাদ

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাবুল আকতার, খুলনা থেকে : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে উন্নীত করতে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন স্লোগান নির্ধারিত হয়েছে। স্লোগানের ধারায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে উন্নীত করতে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানের ওবিই কারিকুলায় নিজেদের মানিয়ে নেয়া, সব বিষয়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা, ই-নথি চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রিন ক্যাম্পাসে রূপান্তর করা।
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৩ বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল সোয়া ১০ প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব ও পরে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার অধ্যক্ষ অমিত রায় চৌধুরী, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
এরপর উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন। তিনি উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় পরিষদকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। এ সময় উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, পরিষদের সভাপতি এস এম মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মণ্ডল বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল- মুক্তমঞ্চে বিভাগ-ডিসিপ্লিনগুলোর গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপন, বিগত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনগুলোকে সম্মাননা প্রদান, স্মরণিকা প্রকাশ, বিকাল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, একাডেমিক ভবন ও হলগুলো আলোকসজ্জা করা হয়। শোভাযাত্রা শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিকাশে নানাভাবে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ-বিদেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্যগাথা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উপাচার্য আরো বলেন, দেশে বধ্যভূমির উপর স্থাপিত একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৯১ সালে শিক্ষা কার্যক্রমের শুরুতে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই ক্যাম্পাসকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার যে অঙ্গীকার হয়েছিল তা গত ৩২ বছর ধরে পালিত হচ্ছে। এটা অনন্য নজির। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান বিশ্বমানে পৌঁছানো, আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান তৈরি এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে গবেষণায় সবিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়