এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

আগের সংবাদ

স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

পরের সংবাদ

স্লোগানে স্লোগানে উৎসবমুখর যশোর : আয়োজনে চমক, মানুষের ঢল

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আলমগীর কবীর, যশোর থেকে : যশোরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার উদ্দেশে সমাবেশস্থলে সকাল থেকেই দলে দলে চমকপ্রদ নানা আয়োজনে যোগ দেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। যশোরসহ দক্ষিণাঞ্চলবাসী সারি সারি মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থল যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে সকাল ৭টা থেকেই জড়ো হতে থাকে। স্লোগান আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে গোটা শহর জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দেহ তল্লাশি করে একে একে নেতাকর্মী ঢোকানো হয় স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ হয়ে গেলে উত্তর দিকে ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ মাঠে তাদের প্রবেশ করানো হয়। সেখানেও একে একে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীর বহর ঢুকলে সেই স্থানও পরিপূর্ণ হয়ে যায়। যদিও নেতাকর্মীর উপস্থিতির ধারণা করে আগেই স্টেডিয়াম এবং রাজ্জাক কলেজ মাঠ একত্রিত করা হয়। এর পরে আসা নেতাকর্মী অবস্থান নেন যশোর ঈদগাহ ময়দান এবং টাউন হল মাঠে। সমাবেশ সরাসরি দেখাতে শহরজুড়ে ১০টি স্থানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও মনিটর স্থাপন করে আওয়ামী লীগ। পানির জন্য বসানো হয় একাধিক সাবমার্সিবল পাম্প। ব্যবস্থা করা হয় একাধিক টয়লেট।
বেলা ১২টার মধ্যে জনসভাস্থল ও শহর জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কানায় কানায় ভরে যায় শামস উল হুদা স্টেডিয়াম ও রাজ্জাক কলেজ প্রাঙ্গণ। জনসভাস্থল পেরিয়ে আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। স্লোগানে স্লোগানে ঢাকঢোল বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে তারা। পুরুষ নেতাকর্মীর পাশাপাশি নারী নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। নারীরা লাল-সবুজ শাড়ি পরে বর্ণিল সাজে ঢাকঢোল বাজিয়ে দল বেঁধে সমাবেশস্থলে গিয়ে জড়ো হয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে-গেয়ে তারা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেন।
দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে জনসভা মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে উঠে তিনি হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উচ্ছ¡সিত লাখো নেতাকর্মী নানা স্লোগান দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুরুর আগে যশোরের নানা ঐতিহ্য তুলে ধরে বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে পরিবেশন করা হয়।
সরজমিন শহর দেখা যায়, শহরের পালবাড়ি মোড়, মনিহার, নিউ মার্কেট, চাঁচড়া মোড়, চাঁচড়া ডালমিল রোড দিয়ে নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে দলে দলে যশোর স্টেডিয়ামে জড়ো হতে থাকেন। দূর-দূরান্তের নেতাকর্মী বাসযোগে এসেছেন সমাবেশস্থলে। শহরের বাইরে ২০টি স্পটে তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। শুধু যশোর নয়, জেলার বাইরে ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল ও খুলনা থেকেও অসংখ্য নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে উপস্থিত হন।
খাবারের সংকট এড়াতে অনেকে বাড়ি থেকে খাবার নিয়েই জনসভায় হাজির হন। প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় সমাবেশস্থলে বসেই অনেকে খাবার ভাগাভাগি করে খান।
এদিকে ২৫ হাজার টাকায় কেনা মোটরসাইকেলে বাঁশের চটা, কাঠ এবং কাপড় দিয়ে নৌকার আদলে সাজিয়ে জনসভায় আসেন মাগুরার শালিখা উপজেলার সরশুনা গ্রামের বাসিন্দা শহর আলী (৬০)। তিনি বলেন, বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আনা-নেয়া করতেন। ছোটবেলায় তিনি আমাদের বলতেন- তিনি বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে হেঁটেছেন। সেই থেকে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আমার ভালোবাসার জন্ম হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হয়, সেখানে আমি আমার নৌকার মোটরসাইকেলটি নিয়ে হাজির হই।
লাল-সবুজ রঙের পোশাক গায়ে জড়িয়ে এবং মাথায় নৌকা নিয়ে শেখ হাসিনার সমাবেশে হাজির হন শরীয়তপুরের মোহাম্মদ আলী (৩০)। প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখতে সকাল থেকে তিনি হাতে ব্যানার নিয়ে সমাবেশস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের প্রতি ভালোবাসা থেকে যেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ হয় সেখানেই তিনি নৌকা মাথায় নিয়ে হাজির হন। তার সঙ্গে আলাপচারিতা এবং সেলফি তুলতে ভিড় করেন অনেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়