কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) সঙ্গে নেদারল্যান্ডের প্রখ্যাত ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত বুধবার বেলা ১১টায় রামেবির অস্থায়ী কার্যালয়ে উপাচার্যের নিজ দপ্তর কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে বুধবার রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন নেদারল্যান্ডের একটি প্রতিনিধিদল।
চুক্তির মূল বিষয়বস্তু হলো, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, নার্স, ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ গবেষণা ও স্নাতকোত্তর কোর্সগুলোর পড়ালেখা ও থাকার সুযোগ সৃষ্টি, টেকনোলজি মানবসম্পদ বিনিময়ের ব্যবস্থা করা। ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার, শিক্ষকরা রামেবিতে আসবেন এবং রামেবির শিক্ষক, নার্সরা ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। ইরাসমাসের প্রতিনিধিদল এসব বিষয়কে লক্ষ্য রেখেই মূলত রামেবির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মোস্তাক হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, যৌথ কার্যক্রম পরিচালনা করা ও নার্সদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রামেবির অধীনে সব সরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষকরা আগামী ২৬-২৮ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের জাহানারা নার্সিং কলেজে প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন এবং ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রতিনিধিদল তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
এ বিষয়ে রামেবি উপাচার্য বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে আমাদের ডাক্তার ও নার্সরা। ইউজিসি থেকে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই চুক্তির ফলে শিক্ষকদের গবেষণা, ডাক্তার ও নার্সদের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও বহির্বিশ্বের ন্যায় উন্নত সেবাদান করতে সক্ষম হবে বলে আমরা মনে করছি।
নেদারল্যান্ডের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন- ইরাসমাস মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপক লেইস বেথ। এছাড়া প্রতিনিধিদলে ছিলেন ডা. প্রাট্রিসিয়া, ডা. মার্টিন এবং নার্সিং শিক্ষক ইলস। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামেবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মোস্তাক হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রামেবির প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রামেবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল কাদের, ডা. মো. জাকির হোসেন খোন্দকার, পরিচালক (অ.হি.), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হাবিব, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ।