এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

আগের সংবাদ

স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

পরের সংবাদ

যাত্রী কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা : ই-টিকেটে নির্ধারিত ভাড়ার সব তথ্য সংযোজনের দাবি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সিটিবাসে ই-টিকেটে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংযোজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি এই খাতের আমূল সংস্কার করা না গেলে ই-টিকেটিং সিস্টেমে সিটিবাস সার্ভিস ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘ঢাকা সিটিবাস সার্ভিসে ই-টিকেটিং যাত্রীদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আধুনিক গণপরিবহন সেবায় ই-টিকেটিং ব্যবস্থাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংযোজন করা হয়নি। অবিলম্বে এটি সংযোজন করতে হবে। ই-টিকেটিংয়ে চলাচলকারী বাসে দূরত্বের ব্যবধানে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ আছে। অন্যদিকে কোনো কোনো পথে ভাড়া কমে আসার নজিরও রয়েছে। পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি এই খাতের আমূল সংস্কার করা না গেলে ই-টিকেটিং সিস্টেমে সিটিবাস সার্ভিস ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, টিকেট মানে সেবামূল্যের রশিদ। আন্তর্জাতিক ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী প্রতিটি পণ্য বা সেবামূল্যের রশিদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দীর্ঘদিন পর নগরীর সিটি সার্ভিসের বাসে ই-টিকেটিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে এটি পূরণে এগিয়ে আসায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই। প্রতিটি টিকেটে বাসের নাম, বাসের নিবন্ধন নম্বর, যাত্রা ও গন্তব্যের নাম, দূরত্ব, ভাড়ার অঙ্ক, ভ্রমণ তারিখ ও অভিযোগকেন্দ্রের নম্বরগুলো থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রদত্ত ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় এসব পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই। কোনো কোনো টিকেটে শুধু ভাড়ার অঙ্ক লেখা রয়েছে। যাত্রা ও গন্তব্যের নাম, বাসের নাম ও নম্বর নেই, ফলে এসব টিকেট দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে যাত্রীদের প্রতিকার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভাড়া নির্ধারণের শর্ত অনুযায়ী চালক-সহকারীর নিয়োগপত্র, বেতন ও ওভারটাইম নিশ্চিত করা জরুরি।
সংগঠনের এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লক্করঝক্কর বাস উচ্ছেদ করে বাসের সার্বিক পরিবেশ উন্নত করে সিটি সার্ভিস আধুনিক বিশ্বের আদলে গড়ে তুলতে হবে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করে বাসের জন্য আলাদা ডেডিকেটেড লেনের ব্যবস্থাসহ নানামুখী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হলে মানুষ ধীরে ধীরে বাসমুখী হবে। মোটরসাইকেলসহ ছোট পরিবহনের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। এতে যানজট ও মানুষের যাতায়াত ব্যয় কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সহসভাপতি তাওহিদুল হক লিটনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, বাংলাদেশ মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মনজুর হোসন ঈশা প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়