এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

আগের সংবাদ

স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

পরের সংবাদ

মহিলা পরিষদ : নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার চিত্র উদ্বেগজনক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার চিত্র অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার এই তিন প্রতিষ্ঠানই ধর্ষণের অবদানকারী শক্তি। আর্থসামাজিক পটভূমি এবং অপরাধীদের পারিবারিক অবস্থা, অপরাধীদের অতীতে অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং উপযুক্ত শাস্তির অনুপস্থিতির কারণে তরুণরা যৌন সহিংসতায় সম্পৃক্ত হচ্ছে।
‘নারী ও কন্যার প্রতি যৌন নির্যাতন ও তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক আলোচনা ও গবেষণা প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান প্রমুখ। মহিলা পরিষদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে করা গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন সমীক্ষা, গবেষণার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার চিত্র অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৯ দশমিক ১ শতাংশ উত্তর দাতা বলেছেন গত বছরে রাস্তায় পিছু নেয়া এবং অশালীন মন্তব্যের শিকার হওয়ার মতো যৌন হয়রানির ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। এতে দেখা গেছে যে নারীরা এভাবেই বেশি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তর দাতা বলেছেন যে তাদের অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ বা লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ শতাংশ উত্তর দাতা বলেছেন তারা ইন্টিমেট পার্টনার দ্বারা যৌন সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন। রাস্তাঘাট ও পাবলিক প্লেস নিরাপদ নয় জানিয়ে ৩৮৪ জন উত্তর দাতার মধ্যে ১৭৭ জন বলেছেন, তারা এসব স্থানে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার- এই তিন প্রতিষ্ঠানই ধর্ষণের অবদানকারী শক্তি। আর্থ সামাজিক পটভূমি এবং অপরাধীদের পারিবারিক অবস্থা, অপরাধীদের অতীতে অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং উপযুক্ত শাস্তির অনুপস্থিতির কারণে তরুণরা যৌন সহিংসতায় সম্পৃক্ত হচ্ছে।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে, সারাবিশ্বে ৮১ হাজার নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। প্রতি ঘণ্টায় ১ জন নারী হত্যা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে নারী নির্যাতন মুক্ত দেশ গড়তে চাই। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, অনেক সময় দেখা যায় তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলি হয়ে যায় বা অনেক বেশি কাজের চাপ থাকার কারণে তারা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারেন না। যার ফলে বিচার অনেকটা পিছিয়ে যায়। ধর্ষণের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা যত দিন পর্যন্ত বিচার না পায় সে এক প্রকার ট্রমার মধ্যে থাকে। তাই এসব সমস্যা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
মালেকা বানু বলেন, আমাদের সমাজে পারিবারিক নিপীড়নকে এখনো ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর ফলে কোনো পরিবারে নির্যাতন হলে অন্যরা কোনো কথা বলেন না। পরিবারের নারীও এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়। পারিবারিক নিপীড়ন বিরোধী আইন থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়