প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : গ্যাস সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন বিঘিœত হচ্ছে। তবে এটি সাময়িক সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন- আগামী জানুয়ারি মাস থেকে এই সংকট কেটে যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিরামিক শিল্প বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় একটি খাত। দেশে উৎপাদিত হওয়া সিরামিক পণ্য চাহিদার ৮৫ ভাগ পূরণ করছে। এরই মধ্যে ৫০টি দেশে এক বিলিয়ন ডলার পরিমাণ সিরামিক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। সিরামিক পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি যেন আরো বাড়ানো যায় সে অনুসারে ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সরকার।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাকের মতো সিরামিকসহ যেসব খাতের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে চায় তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফেকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বিসিএমইএ মহাসচিব ইরফান উদ্দিন।
বিসিএমইএ আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী এশিয়ার অন্যতম এ সিরামিক মেলায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০টি দেশের ১২০টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫০টি ব্র্যান্ড নিয়ে অংশ নিয়েছে। এ প্রদর্শনী দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার জন্য প্রবেশ ফি ছাড়া উন্মুক্ত থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, দেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে সিরামিক খাত ক্রমেই অবস্থান সুসংহত করে চলেছে। ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য। সম্ভাবনাময় এই খাতকে আরো এগিয়ে নিতে তৎপর রয়েছেন দেশের সিরামিক শিল্প উদ্যোক্তারা। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয়বারের মতো রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো-২০২২।
অনুষ্ঠানে বিসিএমইএ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, দেশে এরই মধ্যে সিরামিক, টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারি ওয়্যারের ৭০টিরও বেশি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে বিক্রয়ের পরিমাণ বার্ষিক প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। গত দশ বছরে সিরামিক খাতে উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ এবং বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে সিরামিক পণ্য রপ্তানি করে বছরে আয় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এ খাতে রপ্তানি আয় বাড়ছে, বিনিয়োগও বাড়ছে।
তিনি বলেন, এ শিল্পে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ লাখ মানুষ এ খাতটির সঙ্গে জড়িত।
মেলার প্রিন্সিপাল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে আকিজ সিরামিকস, প্লাটিনাম স্পন্সর শেলটেক সিরামিকস ও ডিবিএল সিরামিকস এবং কো-স্পন্সর হিসেবে থাকছে মীর সিরামিক, আবুল খায়ের সিরামিক, বিএইচএল সিরামিক, এইচএলটি ডিএলটি টেকনোলোজি ও সাকমি। ওয়েম কমিউনিকেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এক্সপোতে একই ছাদের নিচে রয়েছে ১৫ দেশের ৯০ প্রতিষ্ঠান ও ২০০ ব্র্যান্ড। এছাড়া অংশ নেবেন ৩০০ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও ক্রেতা।
মেলার তিন দিনে থাকছে ৫টি সেমিনার, জব ফেয়ার, বিটুবি এবং বিটুসি মিটিং, র্যাফেল ড্র, আকর্ষণীয় গিফট, লাইভ ডেমোনস্ট্রেশন, স্পট অর্ডার এবং নতুন পণ্যের মোড়ক উন্মোচনের সুযোগ।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।