এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

আগের সংবাদ

স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

পরের সংবাদ

বন বিভাগ ও প্রশাসন পায় মাসোহারা : রাউজানে বাঁশের চালিতে করে কাঠ পাচার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম. রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : রাউজানে সর্তা খালের জলপথে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার কাঠ পাচার করছে একটি চক্র। অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যরা বন বিভাগ, পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে অবাধে কাঠ পাচার করছে। নীবর ভূমিকা পালনের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্যঞ্চলের বিভিন্ন বনায়ন থেকে নিধন করা কাঠ সর্তার খালের জলপথে বাঁশের চালি করে এনে স্তূপ করে গহিরা কালাচাঁদ চৌধুরী হাটের করাত কলগুলোতে। সেখান থেকে দ্বিতীয় দফায় করাত কলে সাইজ করে রাতের আঁধারে চট্টগ্রাম শহর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রাক ভর্তি করে পাচার করেন কাঠ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এসব কাঠের মধ্যে রয়েছে সেগুন, গর্জন, গামারি, কড়াই ও আকাশী মনি গোলা কাঠ। জলপথে আসা প্রতি কাঠ ভর্তি বাঁশের ছালি ১৫০ টাকা, বাঁশের চালি ৫০ টাকা আর কাঠ ভর্তি প্রতি জিপ ৫০০ টাকা করে কাঠ ব্যবসায়ী সমিতিকে দিতে হয় বলে জানা গেছে। সে টাকা দিয়ে অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যরা বন বিভাগ, পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে অবাধে কাঠ পাচার করছে। বন বিভাগ জেনেও কোনো অভিযান পরিচালনা করছে না। নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ হাটহাজারী রেঞ্জ, সর্তা বিট কর্মকর্তা এস এম কাওছার হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, রাতের আঁধারে কাঠ পাচারকারীরা সর্তা দিয়ে বাঁশের চালি করে কাঠ পাচার করে।
সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে সর্তা থেকে পাচারের কাঠ জব্দ করেছে। দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে কাঠ পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়