এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

আগের সংবাদ

স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

পরের সংবাদ

প্রণয় ভার্মা : বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের শেকড় মুক্তিযুদ্ধ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের শেকড় মুক্তিযুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা। ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা সাবেক শিক্ষার্থীদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে পুরাতন ভারতীয় ভবন প্রাঙ্গণে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। হাইকমিশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘মৈত্রী’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের শেকড় মুক্তিযুদ্ধ। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্ক দিন-দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। এ সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় কূটনীতিকে ছাপিয়ে দুদেশের জনগণের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অতিমারির বিরতির পর আবারো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে যাচ্ছে। তারা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন সেতু যুক্ত করেছে। তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নতি ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো সম্পর্কে ভারতীয়রা অবগত হচ্ছেন।
ভারতে বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা নিয়েছে বা নিচ্ছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আন্তরিক।
এ সময় মৈত্রীর সদস্যদের ভারতে ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার আশ্বাস দেন প্রণয়। প্রতি বছরের ৬ ডিসেম্বর পালিত হওয়া মৈত্রী দিবস দুই দেশের সহযোগিতাকে আরো দৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, আমরা ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস পালন করি। এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রæতিকে আরো দৃঢ় করবে।
মৈত্রীর উপদেষ্টা ব্যরিস্টার ড. তুরিন আফরোজ বলেন, ভারত আমাদের পরম বন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুযায়ী আমাদের স্বাধীনতার জন্য কোনো দেশের সমর্থন প্রয়োজন ছিল, ভারত সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে আমাদের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ভারতে উচ্চশিক্ষা নেয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন মৈত্রী আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সংগঠনটির যাত্রা ঘোষণা করেন। দুই দেশের সংস্কৃতি, জ্ঞান ও সহযোগিতা দেয়া-নেয়ার পাশাপাশি সংগঠনটি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এর মধ্যে ইন্দো-বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, নারীবিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী উইমেন মুভি মার্চ উল্লেখযোগ্য।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়