এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

আগের সংবাদ

স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

পরের সংবাদ

তাজরীন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে ফুলেল শ্রদ্ধা : দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি শ্রমিক সংগঠনগুলোর

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আজিম উদ্দিন, সাভার (ঢাকা) থেকে : আগুনে পুড়ে যাওয়া তাজরীন ট্র্যাজেডির ১০ম বার্ষিকীতে গতকাল গার্মেন্টসের সামনে ছবি প্রদর্শন করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন হতাহতদের স্বজন ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। পরে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। ২০১২ সালের এই দিনে সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তাজরীন গার্মেন্টসে সৃষ্ট ভয়াবহ আগুনে ১১০ জন শ্রমিক মারা যান। পুড়ে যাওয়া বহুতল ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শ্রমিকরা জানান, আহতদের অনেকে পঙ্গু হয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল নিহত শ্রমিকদের ছবি তাজরীনের মূল ফটকে টাঙানো হয়। সেখানে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান নিহতদের আত্মীয়স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন থেকে শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ ও তাজরীন গার্মেন্টসে মালিক দেলোয়ারের ফাঁসির দাবি জানান। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দিনের কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ৮টায়। শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতীয় পতাকাসহ লাল পতাকা নিয়ে আসেন ও স্লোগান দেন। গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ শ্রম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পোশাক-শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স টেইলার্স লীগসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডির ১০ বছরেও এখন পর্যন্ত আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি, তাদের পুনর্বাসন করা হয়নি, যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি এবং তাজরীন ফ্যাশনের মালিকসহ দোষীদের বিচারকাজ শেষ করা হয়নি। আহত শ্রমিক সুমি আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমরা দাবি জানিয়ে আসছি- আমাদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু, আমাদের কোনো দাবি আজ পর্যন্ত পূরণ হয়নি।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার ১০ বছর পার হলেও এখনো দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। এতে সরকারের অবস্থানটি স্পষ্ট।
এ কারণে পরবর্তী সময়ে রানা প্লাজা ধসে আবারো হতাহতের ঘটনা ঘটে। অবিলম্বে তাজরীনের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার এবং পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়