এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

আগের সংবাদ

স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

পরের সংবাদ

এলসির সমস্যা কেটে যাবে ডিসেম্বরেই : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামী এক মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলা নিয়ে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। আর এক মাস অপেক্ষা করেন। এখন সংকট কিছুটা কমেছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বলেন, গভর্নরের (বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর) সঙ্গে ২ দিন আগেও কথা হয়েছে। তারপরও আমি আপনাদের সমস্যার কথা গভর্নরের কাছে পৌঁছে দেব।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৩ দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিল্ডকন, উড এবং ইলেকট্রিক্যাল ইন্টারন্যাশনাল প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, এ সরকার পুরোপুরি ব্যবসাবান্ধব। অর্থনীতির ৮০ শতাংশ আপনাদের ব্যবসায়ীদের হাতে। সেজন্য আপনাদের জন্য সব দরজা খোলা। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে আমি বলব যেসব দেশ উন্নয়ন করেছে তাদের সামাজিক শান্তি ঠিক ছিল। আমরাও ব্যবসায়ীদের এতদিন নিরবচ্ছিন্ন কাজ করতে দিয়েছি। কিন্তু এখন রাজনীতির নামে অরাজকতা করে সে শান্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে।
সবাই মিলে সেই অপচেষ্টা রুখতে হবে। গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছিলেন, বাণিজ্যিক আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলা-বন্ধ থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। ব্যাংকগুলো প্রতিদিনই বাণিজ্যিক ঋণপত্র বা এলসি খুলছে। তবে কিছু সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
ডলারের কিছু সংকট থাকলেও এলসি খোলা-বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো পণ্যের বিপরীতে এলসি খুলছে। বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত ডলার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি ভবিষ্যতেও দিয়ে যাবে। তিনি জানিয়েছিলেন, চলতি নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত এলসি খোলা হয়েছে ১ হাজার ২৬৩ মিলিয়ন ডলার। গত অক্টোবর মাসের একই সময়ে (প্রথম ১০ দিনে) যা ছিল ১ হাজার ২৩২ মিলিয়ন ডলার। গত অক্টোবর মাসে মোট এলসি খোলা হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৩ মিলিয়ন ডলার।
তিন দিনের এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে আসক ট্রেড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ফিউচারের ট্রেড ফেয়ার এন্ড ইভেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড। আগামী ২৬ নভেম্বর শেষ হবে এ আয়োজন। বিশ্বের সর্বাধুনিক নির্মাণ অবকাঠামো এবং কাঠ ও আসবাবপত্রসংশ্লিষ্ট শিল্পের নতুন উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও পণ্য নিয়ে শুরু হয়েছে এ প্রদর্শনী।
এতে রয়েছে দেশ-বিদেশের ২০০টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজারেরও বেশি পণ্য। যেখানে নির্মাণ শিল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল, ইকুইপমেন্ট, মেশিনারি এবং প্রযুক্তি তুলে ধরা হচ্ছে।
এছাড়া কাঠ ও আসবাবপত্র শিল্প নিয়ে অন্য প্রদর্শনীতে মেশিনারি, হার্ডওয়্যার এন্ড টুলস, ফিটিং এন্ড ফিক্সচার, লেমিনেট, বোর্ড, কোটিং, অ্যাব্রেসিড এন্ড অ্যাডেসিসহ অন্যান্য পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়