এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

আগের সংবাদ

স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

পরের সংবাদ

এবার ফিলিস্তিনি শিশুদের স্কুল গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নিপীড়ন-নির্যাতন চলছেই। ইহুদি এই দেশটির দমন-নিপীড়ন থেকে বাদ যাচ্ছে না ফিলিস্তিনি শিশুদের স্কুলও। এবার ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি স্কুল গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বাহিনীর গুঁড়িয়ে দেয়া ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি স¤প্রতি নির্মাণ করা হয়েছিল। এছাড়া পশ্চিম তীরের এই এলাকায় ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির হুমকির সম্মুখীনও হচ্ছে। গত বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা এবং কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত বুধবার সকালে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসফেই আল-ফাউকা গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে দিয়েছে।
মাসাফের ইয়াত্তার স্থানীয় কাউন্সিলের প্রধান নিদাল ইউনিস আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী পাঠদান সেশন চলাকালীন স্কুলটি ভেঙে দেয় এবং এ সময় ছাত্ররা ভেতরেই ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) বাচ্চাদের ভয় দেখাতে এবং স্কুল থেকে বের করে দেয়ার জন্য শব্দ উৎপন্নকারী বোমা ব্যবহার করে।’
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতে, ইসরায়েলি হাইকোর্ট অব জাস্টিস বুধবার ওই স্কুলটি ভেঙে দেয়ার আদেশ স্থগিত করার যে অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা ছিল তা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর সেটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
আল-জাজিরা বলছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রশাসনিক বিষয়গুলোর দায়িত্বে রয়েছে ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা দ্য কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভেটিস ইন দ্য টেরিটরিস (সিওজিএটি)। সংস্থাটি বলছে, অবৈধভাবে নির্মিত একটি ভবন তারা ভেঙে দিয়েছে। কারণ ওই ভবনটি ফায়ারিং জোনের কাছেই অবস্থিত।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভেঙে দেয়া এই স্কুলটি প্রায় এক মাস আগে নির্মিত হয় এবং দুই সপ্তাহেরও কম সময় ধরে এটি চালু ছিল। এছাড়া স্কুলটি মাসাফের ইয়াত্তার চারটি পৃথক গ্রামের ২২ জন শিক্ষার্থীকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করাচ্ছিল।
মাসাফার ইয়াত্তা অঞ্চলের কর্মী ফাদি আল-উমুর আল জাজিরাকে বলেছেন, ভেঙে দেয়া স্কুলটি ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামের অধীনে অধিকৃত পশ্চিম তীরে নির্মিত এক ডজনেরও বেশি স্কুলের মধ্যে একটি।

ফিলিস্তিনিদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বলেছে, স্কুলটি গুঁড়িয়ে দেয়ার খবরে তারা ‘আতঙ্কিত’ হয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এই ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা করেছে এবং একে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়