এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন, প্রণেতারা শাস্তি পেলেন : আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব নয়

আগের সংবাদ

স্বাচিপের পঞ্চম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

পরের সংবাদ

ইউরোপে বায়ুদূষণ : ২০২০ সালে মারা গেছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বাতাসে ছড়িয়ে পড়া অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা ও বিষাক্ত গ্যাসের ফলে সৃষ্ট দূষণে ২০২০ সালে ইউরোপের ২৭টি দেশে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের। ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবেশবিষয়ক কর্তৃপক্ষ ইউরোপিয়ান এনভায়র্নমেন্ট এজেন্সির (ইইএ) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইইএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বাতাসের গুণাগুণ সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তা অনুসরণ করে বলা যায়- ইউরোপের বাতাসে ভয়াবহমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (ফাইন পল্যুশন পার্টিক্যালস টু পয়েন্ট ফাইভ বা পিএম ২.৫) এবং তার জেরেই ২০২০ সালে এই ২ লাখ ৩৮ হাজার অকাল মৃত্যু দেখতে হয়েছে ইউরোপকে।
আন্তর্জাতিক পরিমাপ পদ্ধতি অনুযায়ী, ১ লাখ মাইক্রোগ্রাম সমান ১ গ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২১ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পিএম ২.৫ ভুক্ত বস্তুকণাগুলোর ওজন ৫ থেকে ১০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে। সাধারণত পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন ধোঁয়াই এসব বস্তুকণার উৎস।
এসব বস্তুকণার উপস্থিতির কারণে সৃষ্ট দূষণযুক্ত বাতাসে যদি মানুষ দীর্ঘদিন বসবাস করে, সেক্ষেত্রে হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হাঁপানি এমনকি ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি থাকে।
আগের বছর ২০১৯ সালে বায়ুদূষণজনিত কারণে ইউরোপে যতসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, ২০২০ সালের মৃতের সংখ্যা ছিল তার চেয়ে কিছু বেশি।
প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে ইইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ওই বছর (২০২০ সাল) ছিল করোনা মহামারির প্রথম বছর। বিশ্বের অন্য দেশের মতো ইউরোপের দেশগুলোতেও মাসের পর মাস বন্ধ ছিল যানবাহন চলাচল, শিল্প কারখানার উৎপাদন। বিগত অন্য বছরের তুলনায় ওই বছর বাতাসে কার্বন নিঃস্বরণও ছিল কম। তারপরও বায়ুদুষণজনিত কারণে ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ২০২০ সালে।’
তবে এই ২ লাখ ৩৮ হাজার জনের সবাই বস্তুকণাজনিত দূষণে মারা গেছে এমন নয়। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন ইউরোপের বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (এনও২) নামের একটি গ্যাসের বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতির কারণে। নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ব্যাপক বিষাক্ত একটি গ্যাস। এছাড়া ওজন (ও৩) গ্যাসের ‘প্রকট প্রভাব’ জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার মানুষের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়