রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেবেন, ওয়াদা চাই : যশোরের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা, বিএনপির কাজই গুজব ছড়ানো, রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই

পরের সংবাদ

৩৫ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার, পর্তুগালে ব্যাপক ধরপাকড়

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পর্তুগালের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা আলেনতেজোয় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে ৩৫ জন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পর্তুগাল পুলিশ। গ্রেপ্তার এই মানবপাচারকারীদের বয়স ২২ বছর থেকে ৫৮ বছরের মধ্যে। কেউ রোমানিয়া, কেউ মলদোভা, কেউ বা ভারত, সেনেগাল, পাকিস্তান, মরক্কো কিংবা আলজেরিয়া থেকে পর্তুগালে এসে আস্তানা গাড়েন এবং এখান থেকেই পর্তুগালসহ পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধ পথে অভিবাসী শ্রমিক পাঠাতেন। মহামারির পর থেকে ইউরোপে অন্যান্য দেশের মতো পর্তুগালের কৃষি খামারগুলোতেও ব্যাপক শ্রমিক সংকট চলছে। সেসব খামারেই মূলত শ্রমিক সরবরাহ করতেন তারা।
আলেনতেজোর ৬৫টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গ্রেপ্তার এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দাগি অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগ, মানবপাচার, মুদ্রাপাচার, ভুয়া নথিপত্র প্রস্তুত ও এ সংক্রান্ত বাণিজ্য এবং আরো বিভিন্ন অপরাধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।’
পর্তুগালের বিচার বিভাগের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে, তবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ পর্তুগালের মোট ৯২ হাজার ২১২ বর্গকিলোমিটার। তবে দেশটির জনসংখ্যা বেশ কম- মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখ। এই জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আবার বয়স্ক। শূন্যের নিচে জন্মহার থাকায় দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও খুব ধীর।
এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই দেশটির গ্রাম ও কৃষি প্রধান অঞ্চলগুলোতে শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং অন্যান্য দেশের খামার মালিকদের মতো পর্তুগালের খামার মালিকদেরও ঝোঁক সস্তা কৃষিশ্রমের দিকে।

মালিকদের এই চাহিদা পূরণ করে দরিদ্র বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যাওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা। বিচার বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের পর্তুগালে পৌঁছানোর পাশাপাশি তাদের ভুয়া নথিপত্র ও ওয়ার্ক পারমিট প্রস্তুত করে সরবরাহ করে মানবপাচারকারীরা।
পর্তুগালের খামার মালিকরাও এ ব্যাপারটি জানে, এ কারণে শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়ার সময়ই তাদের সঙ্গে থাকা যাবতীয় কাগজপত্র জব্দ করে নিজেদের কাছে রেখে দেয় তারা। ফলে মালিক যদি অতিরিক্ত পরিশ্রম করায় কিংবা ঠিকমতো বেতন না দেয়, অভিবাসী শ্রমিকদের আর কোথাও যাওয়ার উপায় থাকে না।
ইউরোপের অন্যান্য দেশেও অবৈধপথে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থা অনেকটা পর্তুগালের মতোই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়