চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি : চরফ্যাশন সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক মিটারে আগুন লেগেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি করে নামতে গিয়ে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান রাহুল ও পৌর মেয়র এম মোরশেদসহ শিক্ষা কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার গ্রিল ভেঙে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন। বিদ্যালয়ে আগুন লাগার খবর পেয়ে অভিভাবকসহ শত শত মানুষ ছুটে এসেছে। একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে লোহার গ্রিল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও বেশিরভাগ সময় দরজা আটকিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। যার ফলে পুরনো বৈদ্যুতিক মিটার ও কাটআউট এবং জরাজীর্ণ তার ও মিটারে আগুন লেগে পুড়ে যায়। আর শিক্ষার্থীরা ভয়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হওয়ার জন্য দ্বিতীয় তলার সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি ক্লাসে ছিলাম। এ সময় আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি করে। তবে শিক্ষার্থীরা ভালো আছে। তেমন কেউ আহত না হলেও দৌড়াতে গিয়ে কয়েকজন পড়ে হাত পায়ে সামান্য ব্যথা পেয়েছে। নিচতলার একটি বৈদ্যুতিক মিটারে আগুন লেগে পুড়ে গেছে।
চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আসাদুজ্জামান লিখন বলেন, শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়েছে। বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। তেমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। একটি মিটার পুড়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান রাহুল বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিদ্যালয়ে প্রায় ১২শ শিক্ষার্থী রয়েছে। সবাই সুস্থ আছে। বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও জরাজীর্ণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেন সংস্কার করা হয়নি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।