রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেবেন, ওয়াদা চাই : যশোরের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা, বিএনপির কাজই গুজব ছড়ানো, রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই

পরের সংবাদ

রূপগঞ্জে আবাসিক গ্যাস সংযোগে চলে কারখানা!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : রূপগঞ্জে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে তিতাস গ্যাসের আবাসিক সংযোগ ব্যবহার করে বাণিজ্যিভাবে তামিম টেক্সটাইল নামে একটি তুলা কারখানা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে কারখানাটি এ অবৈধ সংযোগ চালালেও প্রশাসন ও তিতাস কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিতাস গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতিমাসে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে এ কারখানা চলছে বলে স্থানীয়রা জানান। এতে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা গেছে, উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী কলাবাগান এলাকায় তামিম টেক্সটাইল নামের কারখানাটি অবস্থিত। এতে ৮-১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। কারখানাটির মালিক নূর হোসেন নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে পরিত্যাক্ত ও ময়লা তুলা কিনে এনে এ কারখানায় বয়লারের মাধ্যমে তুলাগুলো পরিষ্কার করা হয়। কারখানাটিতে ৩টি বয়লার রয়েছে। এই ৩টি বয়লারই গরম করা হয় অবৈধ গ্যাসের মাধ্যমে। কারখানার গ্যাস লাইনটি নি¤œমানের পাইপের মাধ্যমে আনা হয়েছে ওখানকার স্থানীয় আবাসিক লাইন থেকে। এতে করে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কারখানাটিতে চলা বয়লার তিনটিতে প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা বিল আসতে পারে। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস সংযোগ নিতে খরচ হয় কয়েক লাখ টাকা। এ কারণে কারখানার মালিক স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে কারখানা চালাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ তার অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৩ বছর ধরে তিতাস গ্যাসের যাত্রামুড়া জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের মাসোহারা মাধ্যমে ম্যানেজ করে কারখানাটি চালানো হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নি¤œমানের পাইপ লাইনের মাধ্যমে তামিম টেক্সটাইল কারখানাটিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালানো হলেও তিতাস কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারখানার মালিক প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমরা প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছিনা। দ্রুত গ্যাস সংযোগটি বিচ্ছিন্নের দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে কারখানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক সোহাগের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কয়েক মাস ধরে এ কারখানার দায়িত্বে আছি। গ্যাস সংযোগটি অবৈধ কিনা তা আমার জানা নেই। অবৈধ গ্যাস সংযোগের ব্যাপারে কারখানার মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে রাগ দেখিয়ে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিতাস গ্যাসের যাত্রামুড়া জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মিজবাউর রহমান বলেন, রূপসী এলাকায় ব্যান্ডেজ কারখানা অবৈধ গ্যাসে চলছে বলে তথ্য পেয়েছি। শীঘ্রই অবৈধ গ্যাস সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়