রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেবেন, ওয়াদা চাই : যশোরের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা, বিএনপির কাজই গুজব ছড়ানো, রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুল : বিরোধী নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের পুরনো খেলায় সরকার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই বিরোধী শক্তিকে দমাতে সরকার গায়েবি মামলার কৌশল অবলম্বন করে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের মামলা দিয়ে ব্যস্ত রেখে নিজেদের কাজ শেষ করে নেবে ক্ষমতাসীনরা। তাদের পুরনো খেলা, ঘটনা ঘটাব আমরা, মামলা খাবে তোমরা। এ সময় ঢাকার সমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
গতকাল বুধবার নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক, দেশ কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন প্রমুখ।
ফখরুল বলেন, আবার তারা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ৯৬টি মামলা হয়েছে। সাড়ে চার হাজার আসামি করা হয়েছে। আরো ১০ হাজার অজ্ঞাতনামা। তাদের পুরনো খেলা, ঘটনা ঘটাব আমরা, মামলা খাবে তোমরা। সেই মামলার পেছনে এক মাস, দুই মাস ঝুলতে থাকবে। আদালত, জেলখানায় দৌঁড়াতে থাকবে। এর মধ্যে আমরা আমাদের কাজ শেষ করব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় এলে নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন ক্ষমতাসীনরা। বিএনপির আন্দোলনকে নিয়ে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে চায় সরকার উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, নতুন নাটক জঙ্গি ছিনতাই হয়ে যাওয়া। মানুষ যে দাবি তুলেছে, আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা থেকে মনোযোগ সরাতে এগুলো সব নাটক তৈরি করা হচ্ছে।
ঢাকার সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিষ্কার করে বলেছি, যেহেতু আমরা সব সময় নয়াপল্টনে সমাবেশ করি, সেহেতু ১০ তারিখের সমাবেশও অবশ্যই নয়াপল্টনেই করব। এজন্য ডিএমপিসহ যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের বলতে চাই, কোনো ঝামেলা না করে আমরা যেন সমাবেশ করতে পারি, সে ব্যবস্থা করবেন। নাগরিক ঐক্যের এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলটির নেতা জাহিদুর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের কাছে এখন কোনো রাজনৈতিক বয়ান নেই। তারা দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর উৎসব শুরু করেছে। মানুষ এখন সরকার পতনের ঘণ্টা শুনতে চায়।

আন্দোলনের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখার কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপির সঙ্গে কথা বলছে। তাদের লক্ষ্য এক এবং একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায় বলেও জানান। গণতন্ত্র মঞ্চের আরেক নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, কোনো দেশের অর্থনীতি কতটা মজবুত, তা বোঝা যায় সে দেশের ভিত কতটা শক্ত, তা দেখে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়