রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেবেন, ওয়াদা চাই : যশোরের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা, বিএনপির কাজই গুজব ছড়ানো, রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের সমাপনীতে প্রধানমন্ত্রী : আমাদের ছেলেমেয়েরাও একদিন বিশ্বকাপ খেলবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খেলাধুলায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের ছেলেমেয়েরা আরো বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এভাবেই তারা একদিন চূড়ান্ত উৎকর্ষতা অর্জন করে বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে। আজকে প্রাইমারি থেকে যে খেলাধুলার শুরু হয়েছে সেখান থেকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়- আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়েই একদিন আমরা বিশ্বে খেলাধুলায় উন্নত হতে পারব। সময় পেলেই খেলা দেখেন জানিয়ে তিনি বলেন, যখনই সময় পাই, খেলা দেখি। যদিও বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা হচ্ছে, আমাদের কোনো অবস্থানই নাই। এটা আসলে অনেক কষ্টদায়ক। আমি বিশ্বকাপের খেলা টেলিভিশনে দেখি আর ভাবি- কবে আমাদের ছেলেমেয়েরা এই বিশ্ব আসরে খেলবে। তবে আমাদের মেয়েরা অনেক ভালো করছে। এতে সন্দেহ নেই।
গতকাল বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের সমাপনী ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেশের ১২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৮৫০ জন নারীসহ প্রায় ৬ হাজার ৯৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার তৃতীয় এই আসরের আয়োজন করে। ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, কাবাডি ও দাবাসহ ১২টি ইভেন্টের অধীনে সেরা পারফর্মারদের মধ্যে প্রায় ৭২০টি পদক বিতরণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেয়েরা সাফ গেমস, এশিয়ান গেমসসহ বিভিন্ন গেমসে ভালো ফুটবল-ক্রিকেট খেলছে। আমি মনে করি, আমাদের ছেলেরাও পারবে। সেজন্য সরকার ৮টি বিভাগে বিকেএসপির শাখা করেছে, যাতে সব ইভেন্টে খেলোয়াড়রা উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে। এজন্য প্রশিক্ষণ একান্ত অপরিহার্য। জাতির পিতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করেই সে সময় জার্মানি, ভারতসহ অন্যান্য দেশে খেলোয়াড় পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনেন। কাজেই, আমরাও ছেলেমেয়েদের স্পোর্টসের বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। খেলাধুলার জন্য আরো সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। সীমিত সুযোগের

মধ্যেও এক্ষেত্রে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট ভালো করছে। ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে বলে আমি আশা করি।
খেলাধুলা নিয়ে সরকারের নানা উদ্যোগের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা বিকশিত হচ্ছে। এটা যত অব্যাহত থাকবে, তত বিকশিত হতে থাকবে। একসময় রিফিউজি হিসেবে ছিলাম। এরপর আমরা বাংলাদেশে আসার পর থেকে এই খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিচ্ছি। খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতা যুবসমাজকে পথ দেখায়। যত বেশি খেলাধুলা করবে মন ও শরীর ভালো থাকবে। আর খেলাধুলায় যে প্রতিযোগিতা, তা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। মাদক ও জঙ্গিবাদে আমরা বিশ্বাস করি না। সেজন্য খেলার সুন্দর পরিবেশ করে দিয়েছি। আমি জানি, এর জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে। সেটা করে যাচ্ছি।
খেলাধুলার সঙ্গে নিজের পরিবারের সংশ্লিষ্টতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এমন একটি পরিবারে জন্মেছি, যেটি ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ পরিবার। আমার দাদা ফুটবলার ছিলেন, দাদার ছোট ভাই তিনিও ফুটবলার ছিলেন, আমার বাবাও ফুটবলার ছিলেন। আমার দাদা যখন অফিসার্স টিমের ক্যাপ্টেন, তখন আমার বাবা ছিলেন ছাত্রদের ক্যাপ্টেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তার কাছেই আমরা শুনেছি একদিকে বাবার টিম একদিকে ছেলের টিমের খেলা হতো। আর নিজের অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু খুব চমৎকারভাবে সে কথা লিখে গেছেন। তিনি বলেন, আমি সবসময় চাই, আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। কারণ আমি মনে করি, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী, অত্যন্ত গুণী। একটু সুযোগ পেলেই তারা যে অসাধ্য সাধন করতে পারে, সেটা আমি বিশ্বাস করি।
খেলাধুলা ও শরীরচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতা আমাদের যুবসমাজকে পথ দেখায়। শিশু বা কিশোর বয়স থেকে যত বেশি খেলাধুলা করবে, তত বেশি মন বড় হবে, শরীর ভালো থাকবে। এই যে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একের সঙ্গে অপরের প্রতিযোগিতা, এই প্রতিযোগিতাই আমাদের ছেলেমেয়েদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে, নিজেদেরও আত্মশুদ্ধি হবে এবং তারা সুন্দরভাবে বাঁচবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়