রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেবেন, ওয়াদা চাই : যশোরের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা, বিএনপির কাজই গুজব ছড়ানো, রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই

পরের সংবাদ

পাঠ্যবইয়ে ভুল : হাইকোর্টের নির্দেশ পালন না করায় এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে তলব

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হাইকোর্টের নির্দেশের পরও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে থাকা ভুল সংশোধন করেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তাই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এনসিটিবির চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৯ নভেম্বর তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আলী মোস্তফা খান অপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
পরে আলী মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালে পাঠ্যবইয়ে ভুল নিয়ে করা রিট গ্রহণ করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে থাকা ভুল সংশোধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
শিক্ষা সচিব, ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড টেক্সটবুক বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য (কারিকুলাম) ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় গতকাল এনসিটিবির চেয়ারম্যানকে তলব করলেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের ১৭৪ পৃষ্ঠার নবম লাইনে আছে, দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু হবে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৮৭ পৃষ্ঠায় শেখ মুজিবুর রহমানকে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বলা হয়েছে।
অথচ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি বলা হয়েছে। একই বইয়ের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদের লাইনটিও ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ২৯ পৃষ্ঠায় বঙ্গভবনকে লেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ভবন। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ সংবিধানের কোথাও আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকালের কথা উল্লেখ নেই। এমন অসংখ্য ভুল সংশোধন করতে অনেক অভিভাবক এনসিটিবিকে চিঠি দিলেও কর্ণপাত করেনি তারা। পরে এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়