রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেবেন, ওয়াদা চাই : যশোরের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা, বিএনপির কাজই গুজব ছড়ানো, রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই

পরের সংবাদ

জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব শুরু শুক্রবার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘এই জীবনে ব্যথা যত এইখানে সব হবে গত’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন অমিয়বাণী ধারণ করে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার ৩৩তম আসর। আগামী শুক্র ও শনিবার (২৫ ও ২৬ নভেম্বর) শুরু হবে এ আসর। আর এর মধ্য দিয়ে তিন বছর পর চেনা রূপে ফিরছে ‘জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব’। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে করোনাকালে মৃত্যুবরণকারী শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি ও সংস্কৃতজনদের স্মৃতির উদ্দেশে। ঐতিহ্যবাহী আয়োজনটির সঙ্গে এ বছর থাকছে গুণীজন সম্মাননা পর্বও। সম্মাননা পাচ্ছেন বরেণ্য বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম এবং বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম। তারা দুজনেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় উৎসব উদ্বোধনের পাশাপাশি গুণীজন সম্মাননা প্রদান করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী পীযূষ বড়–য়া। এ সময় সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন- সহসভাপতি খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম, বুলা মাহমুদ, কাজল মুখার্জি, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক (সাধারণ) তানজিমা তমা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক (পরিকল্পনা) সাগরিকা জামালী, অর্থ সম্পাদক কনক খান, দপ্তর সম্পাদক সীমা সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত জামাল মিতু এবং নির্বাহী সম্পাদক শর্মিলা চক্রবর্তী, আহমেদ শাকিল হাসমী, সাজ্জাদ হোসেন, জাফর আহমেদ ও রাবিতা সাবাহ।
তপন মাহমুদ বলেন, আমাদের সময়ে শুধু বিটিভি ছিল, বা বেতার। ফলে আমরা সেখানে গাইলে পুরো বাংলাদেশে শোনা যেত। এখন অসংখ্য চ্যানেল, কিন্তু শিল্পীরা আগের সেই এক্সপোজার পান না। অথচ আমরা চাই নতুনরা গাইবার সুযোগ পাক, প্রচার পাক। সেই কাজটির জন্য এমন একটি উৎসবের আসলে খুব দরকার। এমন আয়োজন হলে নতুন শিল্পীরা অনেক সাহস পান। তাই এবারো আমরা

নতুন সদস্যদের তুলে ধরব মঞ্চে। সঙ্গে আমরা তো থাকবই। তিনি আরো বলেন, এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হচ্ছে করোনায় মৃত্যুবরণকারী শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি ও সংস্কৃতজনদের স্মৃতির উদ্দেশে। কারণ মহামারি শুধু আমাদের মঞ্চটাই কেড়ে নিয়েছে তা নয়, নিয়েছে আরো অনেক তাজা প্রাণ। লিখিত বক্তব্যে পীযূষ বড়–য়া বলেন, শেষবার এই উৎসব করেছি ২০১৯ সালে, মানে সরাসরি মঞ্চে। ২০ সালে পারিনি করোন ভাইরাসের কারণে। ২১ সালে করেছি সীমিত পরিসরে অনলাইনে। ফলে এবারের উৎসবটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আগামীকাল উদ্বোধনের পর বেলা ১১টায় শুরু হবে সংগীত পরিবেশনা। মাঝে বিরতি নিয়ে বিকাল পাঁচটায় হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। পরদিন বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। এবারের উৎসবে সারাদেশ থেকে প্রায় ২০০ জন শিল্পী একক ও দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে রয়েছেন বুলবুল ইসলাম, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, রোকাইয়া হাসিনা, অদিতি মহসিন, ড. অরূপ রতন চৌধুরী, চঞ্চল খান, লিলি ইসলামসহ বেশ কয়েক জন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী। উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেবে পাঁচটি সংগীত দল।
দলগুলো হলো- সুরতীর্থ, সংগীতভবন, বিশ্ববীণা, বুলবুল লতিকলা একাডেমি (বাফা) ও উত্তরারণ। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এরপর থাকবে পর পর দুটি কোরাস। দুই দিনের অনুষ্ঠানে গানের পাশাপাশি আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশ নেবেন বাকশিল্পী আশরাফুল আলম, জয়ন্ত রায়, বেলায়েত হেসেন. মাহমুদা আখতার ও রেজিওয়ালী লীনা। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সাল থেকে রবীন্দ্রসংগীত ও নবীন শিল্পীদের বিকাশে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা। তাদের উদ্যোগেই প্রতি বছর এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়