ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন ২ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

ভিত্তিহীন গুজবে ব্যাংকিং খাত > ব্যাংকে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে : বাংলাদেশ ব্যাংক

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক : বিজয়ের মাসে বুস্টার ডোজের বিশেষ ক্যাম্পেইন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনা টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন চালাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্ধারিত এই সময়ে ৯০ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল মঙ্গলবার ‘বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাহিদ মালেক বলেন, সামনে বিজয় দিবস আসছে। এ উপলক্ষে টিকার ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা এর আগে যতগুলো ক্যাম্পেইন করেছি, সবগুলো সফল হয়েছে। আশা করি, এটিও সফল হবে। আমরা এ পর্যন্ত ১৩ কোটি ৯ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দিয়েছি, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ। এছাড়াও ১২ কোটি ৪২ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে- যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ। বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ৫ কোটি ৮৬ লাখ- যা লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহম্মদ ইউসুফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে স্বীকৃত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক দেয়া হয় না। অথচ আমাদের ফার্মেসিগুলোতে পণ্যের মতো এন্টিবায়োটিক মিলছে। এটি রোধে আমাদের আইন আছে, কিন্তু ব্যবস্থা নেই। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারকারীদের অধিকাংশ মানুষ কোর্স পূর্ণ করে না। আবার যেসব এন্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে সেসব অধিকাংশ প্রয়োজন নেই। গ্রামাঞ্চলে এটি সবচেয়ে বেশি। সেখানে গ্রামীণ ডাক্তাররা যাদের স্বীকৃতি নেই তারা দিচ্ছেন। ওষুধ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, কিন্তু তাতেও হচ্ছে না। এটিতে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য কীভাবে এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হচ্ছে সেটি সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থাপত্র ও ফুল ডোজ ছাড়া বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শুধু আইন করে এটি রোধ করা সম্ভব নয়। মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহম্মদ ইউসুফ বলেন, এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার অনেক বেশি। এটি রোধে শক্ত আইনের বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে মান ঠিক না থাকায় ২৭টি কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। অযাচিত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের আইন প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সংসদে সেটি পাস হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়