ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন ২ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

ভিত্তিহীন গুজবে ব্যাংকিং খাত > ব্যাংকে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে : বাংলাদেশ ব্যাংক

পরের সংবাদ

‘শূন্য থেকে বিলিয়নিয়ার’ পাক সেনাপ্রধানের স্ত্রী

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ছয় বছর দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ২৯ নভেম্বর অবসরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তবে সেনাপ্রধান হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র সপ্তাহ দুই আগে সামনে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। পাকিস্তানভিত্তিক অনুসন্ধানমূলক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট ফোকাস জানিয়েছে, গত ছয় বছরে বিলিয়নিয়ারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের পরিবারের সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমেদ নুরানির করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল বাজওয়ার মেয়াদকালে শূন্য থেকে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন তার স্ত্রী আয়শা আমজাদ। স্বামী সেনাপ্রধান হওয়ার আগে উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পদ ছিল না তার। তবে বাজওয়ার ছয় বছরের মেয়াদে তিনি এখন হাজার হাজার কোটি রুপির মালিক। একই অবস্থা পরিবারের অন্য সদস্যদেরও।
ফ্যাক্ট ফোকাসের দাবি, ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাজওয়ার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের পরিমাণ এবং সেগুলোর ওপর দেয়া ট্যাক্সের তথ্য প্রকাশ করেছে তারা।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানমূলক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, জেনারেল বাজওয়ার পরিবারের জ্ঞাত সম্পদের পরিমাণ ১২ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। বাজওয়ার স্ত্রী আয়েশার ২০১৬ সালে কোনো সম্পদ না থাকলেও বর্তমানে তার ২ দশমিক ২ বিলিয়ন রুপির সম্পদ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজওয়ার পুত্রবধূ মানহুর সাবির মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিলিয়নার বনে যান। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তার উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পদ না থাকলেও পরের মাসেই দেখা যায় তিনি বিলিয়ন রুপির সম্পদের মালিক।
পুত্রবধূ মানহুর সাবিরের পরিবারের অন্য সদস্যদেরও সম্পদের পরিমাণ রাতারাতি অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে। সূত্র : ব্লæমবার্গ, এনডিটিভি।

ফ্যাক্ট ফোকাস বলছে, বাজওয়ার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের রিয়েল এস্টেট ও তেল ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া জেনারেল সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেয়ার পর বিদেশে তহবিল স্থানান্তরের মতো ঘটনা ঘটেছে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর প্রায় অর্ধেক সময়জুড়ে দেশটি শাসন করেছে সেনাবাহিনী। অনেক ক্ষেত্রেই নির্বাচিত সরকারের চাইতেও সামরিক বাহিনীকে অধিক ক্ষমতাবান মনে করা হয়। ফলে এই বাহিনীর বিষয়ে কোনো রিপোর্ট করাকে দেশটিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় বলে মনে করা হয়।
এদিকে জেনারেল বাজওয়ার পরিবারের সদস্যদের এমন আর্থিক বিবরণী সামনে আসার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। গোপনীয় ট্যাক্স নথি কীভাবে ফাঁস হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটিও খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার সেনাপ্রধানের পরিবারের সদস্যদের ট্যাক্সের তথ্য ফাঁসের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম ব্লæমবার্গের তরফে এ বিষয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বিষয়টি উল্লেখ করেছে। সূত্র: ব্লæমবার্গ, এনডিটিভি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়