প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
মো. কামাল হোসেন, ল²ীপুর থেকে : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মৃত। এটাকে আর জীবিত করা যাবে না। বিএনপির হাতে আজ কোনো ইস্যু নেই। তাই তারা বিরাজমান বৈশ্বিক সংকটকে পুঁজি করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। জনগণ তা প্রতিহত করবে। ল²ীপুর স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলন শেষ পর্যায় গোলাম ফারুক পিংকুকে সভাপতি এবং এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়কে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাবেকমন্ত্রী এ কে এম শাহাজাহান কামাল এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মামুন স্বপন এমপি, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি ও আনোয়ার খান এমপি প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। ঢাকায় জঙ্গিবাদ ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে ধরা পড়বে তারা। সরকার বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, জ্বালানি আর খাদ্য সংকট অচিরেই কাটিয়ে ওঠবে সরকার।
তিনি বলেন, এদেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জঙ্গিবাদ ও হাওয়া ভবন তৈরি ছাড়া বিএনপির আর কোনো অর্জন নেই। তাই জনগণ তাদের মুখের কথায় তাদের ভোট দেবে না। নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল ও মেঘা মেঘা প্রকল্প সফল বাস্তবায়নে বিএনপির অন্তরে জ্বালা। তারা মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে যদি আইন করা হতো তাহলে বিএনপির রাজনীতি থাকবে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, এত মিথা কথা কেন বলেন? আপনার মুখে মধু অন্তরে বিষ। প্রস্তুত থাকেন, খেলা হবে। আপনাদের দুর্নীতি, দুঃশাসন, সুইচ ব্যাংকে টাকা পাচার এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খেলা হবে। আপনারা শেখ হাসিনাকে মারতে চেয়েছিলেন, পারেননি।
তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী, আব্রাহাম লিংকনসহ পৃথিবীর ইতিহাসে যে সব হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে, সেসব হত্যাকাণ্ডে অন্তশর্ত নারী ও শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি। ১৫ আগস্ট শিশু, অবলা নারী ও অন্তশর্ত নারীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুসহ এসব হত্যাকাণ্ডে বিশ্বাসঘাতক মোস্তাক এবং জেনারেল জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল। যতদিন এদেশে লাল সূর্য পতাকা উড়বে, যতদিন সূর্য উঠবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যাবে না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভালো হয়ে যান, কে কি করেন শেখ হাসিনা সব জানেন। নেতার ভীড়ে কর্মী চিনতে কষ্ট হচ্ছে। এখানে ব্যানার বিলবোর্ডে ছবি আর ছবি। কি হবে ছবি দিয়ে? মানুষ অনেক কষ্টে আছে। গরিব মানুষকে এই টাকা দিলে তাদের অনেক উপকার হতো।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।