ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন ২ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

ভিত্তিহীন গুজবে ব্যাংকিং খাত > ব্যাংকে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে : বাংলাদেশ ব্যাংক

পরের সংবাদ

বাউফলে দখল-দূষণে নাব্য সংকট : কালাইয়া খালে নৌযান চলাচল বিঘিœত

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম বাজার হিসেবে খ্যাত বাউফলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র কালাইয়া বন্দরের দুটি খাল দখল আর দূষণের কারণে নাব্য হারাচ্ছে। কালাইয়া বন্দরের উত্তর ও পশ্চিম পাশে এই খাল দুটি প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতি বছর কালাইয়া বন্দর থেকে সরকার প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে। কিন্তু নানা ধরনের অত্যাচারে খাল দুটির করুণ দশা হওয়ায় জৌলুস হারাতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী কালাইয়া বন্দর। এতে নাব্য সংকটে কালাইয়া খালে নৌযান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে।
সরজমিন দেখা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে কালাইয়ার খাল দুটি দখল করে এক শ্রেণির লোক বিশেষ পদ্ধতিতে ‘ঝাড়া’ দিয়ে মাছ শিকার করছে। ঝাড়ায় ব্যবহৃত গাছের ডালপালায় পলিমাটি আটকে ক্রমাগত খালের নাব্য হ্রাস পাচ্ছে। খালের দুই তীরে রয়েছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। কালাইয়া বন্দরের সব ময়লা-আবর্জনা খালে ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। খালের দুই তীর থেকে অসংখ্য টয়লেটের গোপন সংযোগ দেয়ায় পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে। অব্যাহত দখল, দূষণ আর পলি মাটির প্রভাবে নাব্য হারিয়ে কালাইয়া খালে নৌযান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, যুগ যুগ ধরে দক্ষিণাঞ্চলের ধান, চাল, গরু ও মহিষের মোকাম হিসেবে পরিচয় বহন করছে কালাইয়া বন্দর। সোমবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। প্রতি হাটেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বেপারিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় কালাইয়া বন্দর। ধান, চাল, গরু ও মহিষের বাজারে প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। প্রায় ৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট কালাইয়া বাজার আজ বিভিন্ন কারণে জৌলুস হারাতে বসেছে। ইতোমধ্যেই জনগুরুত্বপূর্ণ কালাইয়া খাল দুটির নাব্য হারিয়েছে। বন্দরের উত্তর পাশের খালটির কিছু অংশ কয়েকমাস আগে ড্রেজিং করা হলেও এখনো জোয়ারভাটার ওপর নির্ভর করে মালবাহী নৌযানগুলোর চলাচল করতে হচ্ছে।
ঢাকা-কালাইয়া রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘ঈগল’-এর সুপারভাইজার আমির হোসেন বলেন, কয়েকবার ড্রেজিং করার পরও নাব্য ফিরে আসেনি এই খালে। ড্রেজিংয়ের পর জোয়ারের সময় পানি মেপে আমাদের লঞ্চ চালাতে হচ্ছে। শীত মৌসুমে এ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। নাব্য সংকটের কারণে মালবাহী নৌযানগুলোও সমস্যায় পড়ছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
কালাইয়া ধান চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, জোয়ারের সময় ট্রলার আকৃতির ছোট নৌযানে ধান চাল পরিবহন করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেশি হচ্ছে। অপরদিকে বন্দরের পশ্চিম পাশের খালটি দখল-দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা বলেন, বন্দরের উত্তর পাশের খালটির লঞ্চঘাট থেকে তেঁতুলিয়া নদী পর্যন্ত সম্প্রতি ড্রেজিং করা হয়েছে। এরপরও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হবে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়