শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থী মাত্র ৫-৬ জন। আর এই গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা হদিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি। জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করে স্থানীয়রা। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়। তখন থেকেই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইয়াসিন আলী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম থেকেই এ বিদ্যালয়ে তেমন কোনো শিক্ষার্থী দেখা যায়নি। বর্তমানে শিক্ষকরা বলতে গেলে বসে বসেই মাস শেষে বেতনভাতা উত্তোলন করে আসছেন। গতকাল সোমবার বিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে শিক্ষকরা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।
প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী বলেন, আজকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছু কম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকায় আমি নিজে বদলির আবেদন করেছি।
উপস্থিত চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম জানায়, নিয়মিত বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ঘটে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিক্ষক ইয়াসিন আলী বদলি হয়ে তার দীর্ঘদিনের দোষ থেকে মুক্ত হতে চাইছেন। বিদ্যালয়ে এ অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুনবি বলেন, বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই নাজুক। এ কারনে প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী বদলির আবেদন করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।