অর্থপাচার মামলা : বরকত-রুবেলের আরেক সহযোগী কারাগারে

আগের সংবাদ

আরব্য রজনীর নতুন রূপকথা : সৌদি আরব ২ : আর্জেন্টিনা ১ > মেসিদের প্রত্যাশিত হারে স্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব

পরের সংবাদ

শ্রমিকদের মূল্যায়ন করল কাতার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : কাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা প্রবাসী শ্রমিকদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করছে। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল দেশটি। বিশ্বকাপের নানা আয়োজনের মধ্যে স্টেডিয়াম তৈরিতে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে তারা। অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ একটি ফ্যান জোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোনো টিকেট ফি ছাড়াই জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার সুযোগ রয়েছে তাদের জন্য। কাতারের এমন আয়োজনে উচ্ছ¡সিত প্রবাসী শ্রমিকরা।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া ফ্যান জোনে কাতার বনাম ইকুয়েডরের মধ্যকার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি উপভোগ করেন হাজারো প্রবাসী শ্রমিক।
পুরুষদের প্রায় বেশির ভাগই ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার কর্মী। তাদের অধিকাংশই ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা আফ্রিকার। বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর পেছনে তাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো অবদান রয়েছে।
উদ্বোধনী ম্যাচের একটি টিকেটের দাম ছিল দুইশ ইউএস ডলার।
তবে শ্রমিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে শিল্প ফ্যান জোনে একেবারেই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন সবগুলো ম্যাচ। এভাবে ম্যাচ উপভোগ করতে পারায় উচ্ছ¡সিত তারা।
শ্রমিকরা বলেছেন, ‘আমরা খুবই খুশি। কোভিডের পর এই প্রথমবারের মতো আমরা একসঙ্গে বসে এভাবে খেলা উপভোগ করতে পেরেছি।
দীর্ঘ দুই বছরের বিরতি, স্টেডিয়ামের কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ করে আমরা এখানে একত্র হয়েছি। বিশ্বকাপের ম্যাচ উপভোগ করতে আমরা এখানে আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। সবাই খুব উপভোগ করছি সময়টাকে।’
উদ্বোধনী ম্যাচ দেখার পর নিজেদের শ্রম নিয়ে অতৃপ্তি কিংবা অসন্তুষ্টি থাকার কথা নয়। বিশ্বের অন্যান্য সমর্থকের মতো তারাও বুঁদ হয়েছিলেন খেলার ভেতরে। খেলা দেখার জন্য কেউ কাজ শেষ করে সরাসরি যোগ দিয়েছেন ফ্যান জোনে, আবার অনেকেই আগেই ছুটি নিয়েছিলেন কর্মস্থল থেকে।
বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্পের অংশ ছিলেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ হোসেন। বর্তমানে মেট্রো স্টেশনের দারোয়ান হিসেবে কাজ করছেন। উদ্বোধনী ম্যাচটি বেশ রোমাঞ্চ নিয়েই উপভোগ করেছেন ৪৫ বছর বয়সি হোসেন।
আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বকাপের অংশ হওয়াটা বড় ব্যাপার আমার জন্য। কারণ প্রথমবার একটি মুসলিম দেশ এর আয়োজন করছে। কখনো ভাবিনি এই দেশে এসে এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুর অংশীদার হব। আমার জীবদ্দশায়, আমার দেশের বিশ্বকাপে খেলা বা আয়োজন করার সুযোগই নেই।’
ভারতের পিটার বলেন, ‘এখন যেমন মেট্রো বা বাস দেখছেন রাস্তায়, কাতারে এমনটা ছিল না। বিশ্বকাপ না হলে এইসব দালান, হাইওয়ে ও সড়কের হয়তো অস্তিত্বই থাকত না। আমি খুবই খুশি, আমরা (প্রবাসী শ্রমিক) বড় দায়িত্ব পালন করেছি।’
কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনে যে ধরনের সমালোচনা শোনা গিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো শ্রম আইন লঙ্ঘন করার বিষয়টি।
তবে কাতার সরকার বলছে, তারা শ্রম আইন সংস্কার করেছে। মাসিক মজুরি বাড়ানোসহ শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে।
যেখানে শ্রমিকদের ন্যূনতম পারিশ্রমিক করা হয়েছে এক হাজার কাতারি রিয়াল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়