লালমনিরহাট প্রতিনিধি : নাশকতা ও অস্ত্র মামলায় লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত। একই সঙ্গে আরেক জেএমবি সদস্যকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাংটেপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম, পার্শ্ববর্তী সাহেবডাঙ্গার গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে আপেল মিস্ত্রি ও কালীগঞ্জ উপজেলার মশুরোধ মদাতীর হাফিজুর রহমানের ছেলে মোখলেছুর রহমান। ১৪ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার মির্জারকোট এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে তফিজুল ইসলাম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের রাতে জেএমবি সদস্যরা পাটগ্রামের এমএম প্লাজা মার্কেটের সঙ্গে একটি কাঠের ফার্নিচার দোকানে তারা বৈঠক করে। ওই সময় সেখানে রংপুর র‌্যাব-১৩ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চার জন গ্রেপ্তার হন। এ সময় দেহ তল্লাশি করে ফজলে রাব্বির কাছ থেকে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। এছাড়া এই তিনজনসহ একজনের জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কয়েকটি ধারায় আরেকটি মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা দায়রা জজ আদালতের (পিপি) আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, তারা (জঙ্গি) মূলত সরকারকে উৎখাত করার জন্যই বিভিন্ন নাশকতার জন্য বৈঠক করছিল। এসব বিষয়ে সত্যতা পেয়ে তাদের তিনজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।