অর্থপাচার মামলা : বরকত-রুবেলের আরেক সহযোগী কারাগারে

আগের সংবাদ

আরব্য রজনীর নতুন রূপকথা : সৌদি আরব ২ : আর্জেন্টিনা ১ > মেসিদের প্রত্যাশিত হারে স্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব

পরের সংবাদ

প্রণয় ভার্মাকে ড. মোমেন : বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারত

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার প্রণয় কে ভার্মা গতকাল সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেছেন। সন্ধ্যায় ভারতীয় হাইকমিশনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে। তিনি এই সম্পর্ককে ‘দৃঢ় ও অনন্য’ বলে অভিহিত করেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ড. মোমেন উল্লেখ করেন, উভয় দেশ ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনের মাধ্যমে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। গত ৫০ বছরে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন। ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনুকরণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভিন্নভাবে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিপূরক। বাংলাদেশ একটি ‘আঞ্চলিক সংযোগ কেন্দ্র’ হিসাবে অবস্থান করছে এবং ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কল্পনা অনুসারে সংযোগের দৃষ্টিভঙ্গির সুবিধা পেতে পারে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়ম ও নিয়মভিত্তিক অবাধ ও ন্যায্য সংযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন ড. মোমেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন, যা শেষ পর্যন্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছে। এছাড়া ড. মোমেন সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনতে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান। প্রণয় কে ভার্মা উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। হাইকমিশনার বলেন, তিনি বাংলাদেশে যেখানেই যান না কেন তাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে কাজ করা একটি সম্মান ও সুবিধার বিষয়। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে তিনি পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে কাজ করার প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রণয় কে ভার্মা বলেন, ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ এর বৈঠকে ভারত বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করে যাতে বৈশ্বিক আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। হাইকমিশনার প্রতিটি দেশের প্রার্থীদের সমর্থনে বহুপাক্ষিক অঙ্গনে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন। বৈঠকে উভয়েই বহু পুরনো সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোর দেন। ড. মোমেন জোর দিয়ে বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে, তবে এটি এখন দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ও বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ভারতের সমর্থন চেয়েছেন। প্রতি উত্তরে হাইকমিশনার জানান, ভারতও এই সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান পেতে আগ্রহী। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ চালিয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়