অর্থপাচার মামলা : বরকত-রুবেলের আরেক সহযোগী কারাগারে

আগের সংবাদ

আরব্য রজনীর নতুন রূপকথা : সৌদি আরব ২ : আর্জেন্টিনা ১ > মেসিদের প্রত্যাশিত হারে স্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব

পরের সংবাদ

ধুলোর নগরী চট্টগ্রাম : কাজে আসছে না কোটি টাকার সুইপিং গাড়ি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ধুলোবালির কারণে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। যেন ধুলোর নগরীতে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতবিক্ষত সড়কের কারণেও ধুলোবালির পরিমাণ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের ছোটবড় গর্ত সংস্কার না করায় নগরী ধুলোময় হয়ে গেছে বলে অভিযোগ। এছাড়া ধুলোবালি পরিষ্কারের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বিশেষ গাড়ি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তেমন কোনো তৎপরতাও চোখে পড়ছে না। যদিও আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন সড়ক বিভাজক রং করা ও সড়কের গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করেছে চসিক।
সরজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট, চকবাজার, জামালখান, নন্দনকানন, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, হালিশহর, বাকলিয়া, পোর্ট কানেকটিং রোড, বন্দর, পতেঙ্গা ইপিজেড এলাকায় ধুলোবালির কারণে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ থেকে পতেঙ্গা এবং এয়ারপোর্ট যাওয়ার পথে যাত্রীদের অসহনীয় ধুলোর কবলে পড়তে হচ্ছে প্রতিদিন। নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে কাস্টমস পার হয়ে সল্টগোলা, ইপিজেড মোড় এলাকায় ধুলোর জন্য দিনের বেলায় ভালোভাবে কিছু দেখা যায় না।
মূলত চট্টগ্রাম নগরজুড়ে বিভিন্ন উন্নয়নকাজে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বেড়েছে ধুলোর যন্ত্রণা। চট্টগ্রাম ওয়াসার পাইপলাইন সংস্কারের কারণে খোঁড়াখুঁড়ি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, চসিকের চলমান সড়ক উন্নয়নকাজের কারণেই নগরীর বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এসব সড়কে চলাফেরা রীতিমত দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ধুলোবালির কারণে চর্ম, হাঁপানিসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নগরীর অধিকাংশ মানুষ।
এদিকে ধুলোবালি পরিষ্কারের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ছয়টি ‘সুইপিং গাড়ি’ কিনলেও তা কাজে আসছে না। এছাড়া ১৬টি পানিবাহী বিশেষ গাড়ি ও ৭০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে চসিকের। কিন্তু নগরীর ধুলোবালি কমাতে তাদেরও পানি ছিটাতে দেখা যায় না। চসিক কর্মকর্তারা বলছেন, এই সুইপিং গাড়ি চট্টগ্রাম ও ঢাকার মতো অধিক ধুলোময় শহরের জন্য নয়। এই দুই শহরে এত ধুলো, যা এই মেশিন ধারণ করতে পারে না।
জানা গেছে, চসিকের ছয়টি সুইপিং গাড়ি আছে। এর মধ্যে দুটি নষ্ট, একটি প্রায় পরিত্যক্ত। গাড়িগুলো কেনার আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চসিককে জানিয়েছিল, ইতালি থেকে আনা গাড়ির একটির মাধ্যমে প্রতিবারে অন্তত ১২ কিলোমিটার সড়ক পরিষ্কার করা যাবে। গাড়িতে থাকা পাইপের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ধুলোবালি-বর্জ্য তুলে নেয়া যাবে। একই সঙ্গে গাড়িতে থাকা ট্যাঙ্কের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা যাবে। কিন্তু কোটি কোটি টাকার এসব সুইপিং গাড়ি এখন কোনো কাজেই আসছে না।
চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, গাড়িগুলো বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগী না। গাড়িগুলো মসৃণ পিচঢালা সড়কের হালকা ধুলোবালি পরিষ্কারে উপযোগী। কিন্তু চট্টগ্রামের সড়ক ও ফুটপাতে যেভাবে ধুলোবালির ভারী আবরণ পড়ে থাকে, গাড়িগুলো দিয়ে এসব পরিষ্কার কঠিন। এছাড়া সুইপিং গাড়িতে লাগে ৩৫ থেকে ৪০ লিটার ডিজেল। জ্বালানি সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় গাড়িগুলো চালানো যাচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়