অর্থপাচার মামলা : বরকত-রুবেলের আরেক সহযোগী কারাগারে

আগের সংবাদ

আরব্য রজনীর নতুন রূপকথা : সৌদি আরব ২ : আর্জেন্টিনা ১ > মেসিদের প্রত্যাশিত হারে স্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব

পরের সংবাদ

দুদক চেয়ারম্যান : উন্নত অনেক দেশই অর্থ পাচারের তথ্য দিতে চায় না

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার সুযোগ আমাদের হাতে খুব একটা নেই। অর্থ পাচার হওয়া দেশের সঙ্গে আমরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারি না। সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঘুরে বিভিন্ন দেশের কাছে তথ্য চাইতে হয়। যেসব উন্নত দেশ ট্রান্সপারেন্সির কথা বলে তারাও আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করে না। এছাড়া আইনি প্রক্রিয়ার কারণে অর্থ পাচারের তথ্য পেতে অনেক দেরি হয়। গতকাল সোমবার দুদকের ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘ উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এটা আমাদের (দুদকের) শিডিউলেই নাই। আমাদের কাছ থেকে এটা নিয়ে নেয়া হয়েছে। অর্থ পাচার নিয়ে এখন কাজ করে ৭টি প্রতিষ্ঠান। আমরা করি এই সাত ভাগের এক ভাগ। অথচ অর্থ পাচারের অভিযোগের বোঝা আমাদের নিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা অর্থ পাচার ঠেকাতে কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, দুদক বিশ্বরেকর্ড করার মতো রাঘববোয়াল ধরেছে। আমরা অনেক কাজ করছি, সব খবর গণমাধ্যমের কাছে যায় না। সবগুলো খবর গণমাধ্যম প্রচারও করে না। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আপনারা সবসময় বলেন, দুদক কেবল চুনোপুঁটি ধরে। কিন্তু কতগুলো রাঘববোয়াল ধরেছে, আপনারা দেখেছেন কখনো। যদি দেখেন বিশ্বরেকর্ড করার মতো রাঘববোয়াল ধরেছে। তিনি বলেন, দুদকই পৃথিবীর একমাত্র সংস্থা যে দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। অনেককে জেলেও পাঠিয়েছে, যা বিশ্বের অন্যকোনো দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা করেনি। অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলায় দুদকের সাফল্য তুলে ধরে এই কমিশনার বলেন, দুদক ২০২০ সালে ৮টি ও ২০২১ সালে ১৩টি অর্থ পাচার মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ৪টি ও ২০২১ সালে ১টি মামলার চার্জশিট দেয়। যেসব মামলার চার্জশিট হয়েছে আমার বিশ্বাস সেগুলোর মামলার ৮০ শতাংশ ফল দুদকের পক্ষে আছে।
সভায় অন্য কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত ২৭ ধরনের অপরাধের কেবলমাত্র একটি বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারে। অথচ অর্থ পাচারের যাবতীয় দায় দুদককে নিতে হয়। এটা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের মনোনয়ন না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে চিহিৃত দুর্নীতিবাজদের তালিকা সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়