অর্থপাচার মামলা : বরকত-রুবেলের আরেক সহযোগী কারাগারে

আগের সংবাদ

আরব্য রজনীর নতুন রূপকথা : সৌদি আরব ২ : আর্জেন্টিনা ১ > মেসিদের প্রত্যাশিত হারে স্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব

পরের সংবাদ

দাম বাড়ানো অযৌক্তিক : অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতের অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, অনিয়ম দূর না করে সরকার শুধু বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা বারবার এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার সেদিকে কর্ণপাত করছে না। আমি মনে করি, এই মুহূর্তে পাইকারি ও খুচরা কোনো পর্যায়েই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। মানুষ এমনিতেই চারদিক থেকে আর্থিক সংকটে আছে। পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি ভোরের কাগজকে এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ডিসেম্বর থেকে দাম কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিতরণ কোম্পানিগুলো লোকসান দেখিয়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর জন্য বিইআরসির কাছে আবেদন করবে। আমরা বিরোধিতা করলেও দেখা যাবে তখন বিইআরসি খুচরা পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ এমনিতেই সংকটে রয়েছে। এরপর বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে তাদের জন্য আরো সমস্যার সৃষ্টি হবে। বিতরণ কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের পকেট থেকেই বিইআরসির বাড়ানো ১ টাকা ৩ পয়সা দাম আদায় করবে। বিদ্যুৎ ও জ¦ালানির দাম বাড়লে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হলে সব ধরনের পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। উৎপাদন খরচ বাড়লে পণ্যের দামও বাড়বে এবং ভোক্তাকে বেশি দামেই বাজার থেকে পণ্য কিনতে হবে। এর ফলে একদিকে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য বাড়তি টাকা যেমন গুনতে হবে, অন্যদিকে আবার পণ্য কিনতেও বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হবে।
জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, পিডিবির আগের আবেদনটি অসম্পূর্ণ থাকায় বিইআরসি তা ফিরিয়ে দিয়েছিল, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। এখনো যদি দাম না বাড়ানো হতো তাহলেও বড় কোনো সমস্যা হতো না। ১৭ হাজার কোটি টাকার যে ভর্তুকির কথা বলা হচ্ছে, তা বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বেড়েছে। বিদ্যুৎ খাতে দক্ষ লোকবলের অভাবেই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সব অনিয়ম ও দুর্নীতি কমিয়ে আনা হলে ভর্তুকির মাত্রা অনেক কমে যাবে, সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
তিনি আরো বলেন, জ¦ালানি ও বিদ্যুৎ খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা বারবার পরামর্শ দিচ্ছি। ভবিষ্যতে গ্যাস সংকট মেটাতে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, খনন ও উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছি। তখন সরকার আমাদের কথা শোনেনি। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় অনুসন্ধানে মনোযোগ দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়